ঝরো-ঝরো ঝরো-ঝরো ঝরে রঙের ঝর্না।
আয় আয় আয় আয় সে রসের সুধায় হৃদয় ভর্-না॥
সেই মুক্ত বন্যাধারায় ধারায় চিত্ত মৃত্যু-আবেশ হারায়,
ও সেই রসের পরশ পেয়ে ধরা নিত্যনবীনবর্ণা॥
তার কলধ্বনি দখিন-হাওয়ায় ছড়ায় গগনময়,
মর্মরিয়া আসে ছুটে নবীন কিশলয়।
বনের বীণায় বীণায় ছন্দ জাগে বসন্তপঞ্চমের রাগে―
ও সেই সুরে সুরে সুর মিলিয়ে আনন্দগান ধর্-না॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
স্বরবিতান
পঞ্চদশ
(১৫,
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড)
খণ্ডের
(চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) পাঠভেদ অংশে এই গানটির একটি পাঠভেদ দেয়া আছে-
ঝরো-ঝরো ঝরো-ঝরো
ঝরে রঙের ঝর্না
মর্মরিয়া আসে ছুটে
: স্বরলিপি, নবগীতিকা ২ (১৩২৯)
মর্ম্মরিয়া আসে
ছুটি :
কথার অংশ, নবগীতিকা ২
(১৩২৯)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
ভাবসন্ধান:
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫,নবগীতিকা) খণ্ড (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চদশ (নবগীতিকা ২য়) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে গানটির রাগ-তালের কোন উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ: বাহার। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৫৩]।