সব দিবি কে, সব দিবি পায়, আয় আয় আয়।
ডাক পড়েছে ওই শোনা যায়, ‘আয় আয় আয়’ ॥
আসবে যে সে স্বর্ণরথে— জাগবি কারা রিক্ত পথে
পৌষরজনী তাহার আশায়, আয় আয় আয়॥
ক্ষণেক কেবল তাহার খেলা, হায় হায় হায়।
তার পরে তার যাবার বেলা, হায় হায় হায়।
চলে গেলে জাগবি যবে ধনরতন বোঝা হবে—
বহন করা হবে-যে দায় হায় হায় হায় ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
গানটি
বসন্ত
নাটকের 'বসন্তের
পরিচারিকাগণ'-এর গান হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। গানটির স্বরলিপি পাণ্ডুলিপি থেকে
পাওয়া গেছে।
স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬,
বসন্ত) খণ্ডের
(চৈত্র
১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
পাঠভেদ অংশে এই গানটির একটি পাঠভেদ দেয়া আছে-
সব দিবি কে, সব দিবি পায়,
বহন করা হবে
যে দায়
আয় আয় আয়॥
: স্বরলিপি, বসন্ত (১৩৩০, প্রথম প্রকাশিত স্বরলিপি)
কথার অংশ ও
স্বরলিপি, বসন্ত (শ্রাবণ ১৩৩৭, দ্বিতীয় সংস্করণ, স্বরলিপি-গ্রন্থ)
বহন করা হবে-যে দায়―
হায় হায় হায়॥ :
নাট্য, বসন্ত (নাট্যকারের প্রথম প্রকাশ : ফাল্গুন ১৩২৯ সাল)
কথার অংশ, বসন্ত (১৩৩০)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ২৭ মাঘ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ [১০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩]। শান্তিনিকেতন। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর ১০ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। বসন্ত। কবির গান। পৃষ্ঠা ১০৬-১০৭] [নমুনা প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ]
গীতিচর্চ্চা (পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
(ফাল্গুন ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। বসন্তের পরিচারিকাগণ-এর গান।
রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, ভাদ্র ১৩৯৩ সংস্করণ)
ঋতু-উৎসব (১৩৩৩)। বসন্ত -অংশে মুদ্রিত।
স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১ সংখ্যক গান। বাণী অংশ : পৃষ্ঠা ১২। স্বরলিপি অংশ : পৃষ্ঠা ৩৩-৩৪।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর
১১ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ড (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান
ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডে (সংস্করণ
চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ
নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে নিবদ্ধ ; অর্থাৎ
গানটি
'কাহারবা'
তালে নিবদ্ধ।
এই গানটি বিকল্পে ত্রিমাত্রিক ছন্দেও গাওয়া হয় [সূত্র :
স্বরবিতান
ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডে (সংস্করণ
চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)।
পৃষ্ঠা ৩৪]।
এক্ষেত্রে গানটির বিকল্প সুর হিসাবে ''দাদরা'
বিবেচনা করা হয়।
রাগ : ঝিঁঝিট-বাউল। তাল : কাহারবা/খেমটা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮১।
রাগ: খাম্বাজ/পিলু। তাল: কাহারবা/দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪০।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: র্সা।
লয়: দ্রুত।