• গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা (উপ-বিভাগ : বিবিধ-১৪) পর্যায়ের ৩৮৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৬০।

        আসা-যাওয়ার মাঝখানে    
    একলা আছ চেয়ে কাহার পথ-পানে ॥
আকাশে ওই কালোয় সোনায়   শ্রাবণমেঘের কোণায় কোণায়    
    আঁধার-আলোয় কোন্ খেলা যে কে জানে
        আসা-যাওয়ার মাঝখানে ॥
শুকনো পাতা ধুলায় ঝরে, নবীন পাতায় শাখা ভরে।
মাঝে তুমি আপন-হারা, পায়ের কাছে জলের ধারা    
    যায় চলে ওই অশ্রু-ভরা কোন্ গানে
         আসা-যাওয়ার মাঝখানে ॥

• পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায় নি।
• পাঠভেদ:
• ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
• তথ্যানুসন্ধান
  • ক. রচনাকাল ও স্থান: প্রবাসী পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় এই গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এবং গানের নিচে রচনার তারিখ উল্লেখ ছিল- '১৮ আষাঢ় ১৩২৯'।
    
    উল্লেখ্য ১৩২৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের প্রথম থেকেই রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ছিলেন। প্রবল বর্ষণের মধ্যে শান্তিনিকেতনে বর্ষা শুরু হয়েছিল। ১লা আষাঢ় থেকে ৩১শে আষাঢ়ের ভিতরে রবীন্দ্রনাথ গানটি -সহ মোট ৮টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে তিনি গানটি রচনা করেছিলেন- ১৮ আষাঢ় [রবিবার ২ জুলাই, ১৯২২]। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬১ বৎসর ২ মাস।
          [রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
  • খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
    • গ্রন্থ
      • গীতবিতান
        • দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড (১৩২৯ বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা ৬৫০-৬৫১] [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
        • প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী,মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ। পূজা, বিবিধ ১৫ । পৃষ্ঠা ১৫৭] [নমুনা]
        • অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা (উপ-বিভাগ : বিবিধ-১৫) পর্যায়ের ৩৮৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৬০।
      • নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড [বিশ্বভারতী। ১৩২৯ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
      • প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। ঋতু-চক্র ২৮। পৃষ্ঠা: ১৪৩] | [নমুনা]
      • স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের ৫৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৬৬-৬৭] [নমুনা]
    • পত্রিকা:
      • প্রবাসী (শ্রাবণ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। শিরোনাম: আসা-যাওয়ার মাঝখানে। পৃষ্ঠা ৫৪৪] [নমুনা]
    • রেকর্ডসূত্র: নাই
    • প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এই বছরেই নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ(১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা পর্যায়ের বিবিধ উপবিভাগের ১৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ৩৮৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  • গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
    • স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। স্বরবিতান-১৫।
    • সুর ও তাল:

      • স্বরবিতান-১৫-তে গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপটি, ৪।৪ মাত্রাছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।

      • রাগ: মিশ্র পূরবী। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৪।]

      • রাগ: পূরবী (দ,ধ) তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।  পৃষ্ঠা: ৬৪।]

    • গ্রহস্বর: পা।

    • লয়: মধ্য।