পাঠ ও পাঠভেদ:
অগ্নিশিখা, এসো এসো, আনো আনো আলো।
দুঃখে সুখে ঘরে ঘরে গৃহদীপ জ্বালো॥
আনো শক্তি, আনো দীপ্তি, আনো শান্তি, আনো তৃপ্তি,
আনো স্নিগ্ধ ভালোবাসা, আনো নিত্য ভালো॥
এসো পুণ্যপথ বেয়ে এসো হে কল্যাণী—
শুভ সুপ্তি, শুভ জাগরণ দেহো আনি।
দুঃখরাতে মাতৃবেশে জেগে থাকো নির্নিমেষে
আনন্দ-উৎসবে তব শুভ্র হাসি ঢালো॥
পাণ্ডুলিপি:
পাঠভেদ:
'১৩২৯ সনে শান্তিনিকেতনে বর্তমান শ্রীভবনের গোড়াপত্তন হয়, তখন ছাত্রীদের দিয়ে 'গার্ল গাইড' তৈরি করবার ইচ্ছায় কলকাতা থেকে একজন ইংরেজ মহিলাকে আনানো হয়েছিল, তিনি একটি গার্ল গাইড দল তৈরি করে দিয়ে যান। এই দলের জন্য গানের প্রয়োজন হল, 'অগ্নিশিখা এসো এসো' গানটি লিখে তাদের প্রয়োজন মেটালেন। প্রসঙ্গক্রমে বলা যেতে পারে গার্ল গাইডের বাংলা নামকরণ প্রথমে করেছিলেন 'গৃহদীপ', পরে বদলে করেন 'সহায়িকা'।
স্বরলিপিকার:
অনাদিকুমার দস্তিদার।
শান্তিনিকেতন পত্রিকা থেকে
স্বরবিতান
ত্রিংশ'
খণ্ডে
গৃহীত হয়েছে।
[অনাদিকুমার
দস্তিদার-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রিংশ' খণ্ডে গানটির রাগ ও তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ। [স্বরলিপি]
রাগ: ইমন কল্যাণ। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩]
রাগ: ইমন।
তাল:
কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৬।]
[কাহারবা
তালে নিবদ্ধ গানের তালিকা]
গ্রহস্বর: পা।
লয়: অতি দ্রুত।