হৃদয় আমার, ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড় আসে।
বেড়া-ভাঙার মাতন নামে উদ্দাম উল্লাসে॥
তোমার মোহন এল ভীষণ বেশে, আকাশ ঢাকা জটিল কেশে-
বুঝি এল তোমার সাধনধন চরম সর্বনাশে॥
বাতাসে তোর সুর ছিল না, ছিল তাপে ভরা।
পিপাসাতে বুক-ফাটা তোর শুষ্ক কঠিন ধরা।
এবার জাগ্ রে হতাশ, আয় রে ছুটে অবসাদের বাঁধন টুটে-
বুঝি এল তোমার পথের সাথি বিপুল অট্টহাসে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ: গীতবিতানের প্রেম ও প্রকৃতি পর্যায়ের ৬৬ সংখ্যক গানটিকে উক্ত গানটির ভিন্ন পাঠ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়; নিচে পাঠান্তর দেয়া হল-
হৃদয় আমার ওই বুঝি তোর ফাল্গুনী ঢেউ আসে-
বেড়া ভাঙার মাতন নামে উদ্দাম উল্লাসে॥
তোমার মোহন এল সোহন বেশে, কুয়াশাভার গেল ভেসে-
এল তোমার সাধনধন উদার আশ্বাসে॥
অরণ্যে তোর সুর ছিল না, বাতাস হিমে ভরা-
জীর্ণ পাতায় কীর্ণ কানন, পুষ্পবিহীন ধরা।
এবার জাগ্ রে হতাশ, আয় রে ছুটে অবসাদের বাঁধন টুটে-
বুঝি
এল তোমার পথের সাথি উতল উচ্ছ্বাসে॥
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: শ্রাবণ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ। শান্তিনিকেতন। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর ৩ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
নবীন (৩০ ফাল্গুন ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ )। প্রথম অভিনয় পুস্তিকা।
বিচিত্রা (আষাঢ় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। ঋতু-চক্র ৮। পৃষ্ঠা: ১৩০। [নমুনা]
বনবাণী (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ৩২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ১০২-১০৫।
পত্রিকা:
ভারতী (আষাঢ় ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
বসুমতী (পৌষ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ঋতুরঙ্গের সাথে মুদ্রিত হয়।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: এই
গানটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা উৎসবে বেশ কয়েকবার গীত হয়েছিল।
১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ
শান্তিনিকেতনে
বর্ষামঙ্গল উৎসবে পরিবেশিত হয়েছিল। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা
মঞ্চস্থ হওয়ার সময় গীত হয়। ১৩৩৪ খ্রিষ্টাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে ঋতুরঙ্গ
মঞ্চস্থ হওয়ার সময় গীত হয়। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে ঋতুচক্রের
প্রথম অভিনয়কালে পরিবেশিত হয়।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের ( চৈত্র ১৪১৩) গৃহীত মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
বাউল। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৪।
কীর্তন। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৫।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ: বাউলাঙ্গ।
গ্রহস্বর: না।
লয়: দ্রুত।