বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
প্রখর
তপনতাপে
আকাশ তৃষায় কাঁপে,
পাঠ ও পাঠভেদ: গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
প্রখর তপনতাপে আকাশ তৃষায় কাঁপে,
বায়ু করে হাহাকার।
দীর্ঘপথের শেষে ডাকি মন্দিরে এসে,
‘খোলো খোলো খোলো দ্বার॥’
বাহির হয়েছি কবে কার আহ্বানরবে,
এখনি মলিন হবে প্রভাতের ফুলহার॥
বুকে বাজে আশাহীনা ক্ষীণমর্মর বীণা,
জানি না কে আছে কিনা, সাড়া তো না পাই তার।
আজি সারা দিন ধ’রে প্রাণে সুর ওঠে ভরে,
একেলা কেমন ক’রে বহিব গানের ভার॥
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সের রচনা।
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১৯১ পৃষ্ঠার তথ্যানুসারে জানা যায়. গানটির স্বরলিপিকার দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু এই গ্রন্থের ১৯৪ পৃষ্ঠায় এই গানের সুরান্তর দেখানো হয়েছে। এই সুরান্তরটিও দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত। এই স্বরলিপিটি গ্রহণ করা হয়েছে, নবগীতিকা ২ (১৩২৯ বঙ্গাব্দ) থেকে। এক্ষেত্রে স্বরবিতান পঞ্চদশ খণ্ডে গৃহীত মূল স্বরলিপিটি কার, তা সুস্পষ্টভাবে জানা যায় না।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
স্বরবিতান
পঞ্চদশ
(১৫,
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড)
খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
সুরান্তরে (পৃষ্ঠা ১৯৪)
দিনেন্দ্রনাথ-কৃত স্বরলিপির সাথে রাগটির তাল সম্পর্কে উল্লেখ আছে-
'৩।৩ মাত্রা-ছন্দে ছয় মাত্রার তালের স্থলে ৩।৩।৩।৩ মাত্রা-ছন্দে বারো মাত্রা তালে
স্বরলিপি মুদ্রিত।
রাগ: মুলতান-ভীমপলশ্রী। তাল: দাদরা [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৫]
রাগ: মুলতান-ভীমপলশ্রী, ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১৩ ]
গ্রহস্বর: জ্ঞা।
লয়: দ্রুত।