শুষ্কতাপের দৈত্যপুরে দ্বার ভাঙবে ব’লে,
রাজপুত্র, কোথা হতে হঠাৎ এলে চলে॥
সাত সমুদ্র-পারের থেকে বজ্রস্বরে এলে হেঁকে,
দুন্দুভি যে উঠল বেজে বিষম কলরোলে॥
বীরের পদপরশ পেয়ে মূর্ছা হতে জাগে,
বসুন্ধরার তপ্ত প্রাণে বিপুল পুলক লাগে।
মরকতমণির থালা সাজিয়ে গাঁথে বরণমালা,
উতলা তার হিয়া আজি সজল হাওয়ায় দোলে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের গীতবিতান কালানুক্রমিক
সূচী (২৫ বৈশাখ ১৩৯৯) গ্রন্থে গানটির তারিখ পাওয়া যায়-"পৌষ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ"। কিন্তু
প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী অষ্টম খণ্ডে- এই গানসহ আরও কিছু গানের রচনাকাল
নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন- ‘..তথ্যটি সুনিশ্চিতভাবেই সঠিক নয়’। [পৃষ্ঠা ২৫২]।
রবিজীবনীতে- এই গানের সঠিক তারিখ উল্লেখ করা হয় নি। তবে গানটি যে ১৩২৯ বঙ্গাব্দে
রচিত, এ ব্যাপারে দুজনেই একমত হয়েছেন। এই বিচারে বলা যেতে পারে যে- গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সের রচনা।
[দেখুন: ৬১ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। ঋতু-চক্র ১০। পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ৫৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ১৭৩-১৭৬।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ : কেদারা। তাল : দাদরা-খেমটা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৭৮।
রাগ: কেদারা। তাল: খেমটা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৬।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: পা।
লয়: ধীর।