বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ফাগুনের
পূর্ণিমা এল কার লিপি হাতে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
ফাগুনের পূর্ণিমা এল কার লিপি হাতে।
বাণী তার বুঝি না রে, ভরে মন বেদনাতে॥
উদয়শৈলমূলে জীবনের কোন্ কূলে
এই বাণী জেগেছিল কবে কোন্ মধুরাতে॥
মাধবীর মঞ্জরী মনে আনে বারে বারে
বরণের মালা গাঁথা স্মরণের পরপারে।
সমীরণে কোন্ মায়া ফিরিছে স্বপনকায়া,
বেণুবনে কাঁপে ছায়া অলখ-চরণ-পাতে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি MS. NO 021: পৃষ্ঠা: ৭৬ পৃষ্ঠায় এই গানটি পাওয়া যায়।[পাণ্ডুলিপি]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
ক. রচনাকাল ও স্থান: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের গীতবিতান কালানুক্রমিক
সূচী (২৫ বৈশাখ ১৩৯৯) গ্রন্থে গানটির তারিখ পাওয়া যায়-"পৌষ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ"। কিন্তু
প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী অষ্টম খণ্ডে- এই গানসহ আরও কিছু গানের রচনাকাল
নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন- ‘..তথ্যটি সুনিশ্চিতভাবেই সঠিক নয়’। [পৃষ্ঠা ২৫২]।
রবিজীবনীতে- এই গানের সঠিক তারিখ উল্লেখ করা হয় নি। তবে গানটি যে ১৩২৯ বঙ্গাব্দে
রচিত, এ ব্যাপারে দুজনেই একমত হয়েছেন। এই বিচারে বলা যেতে পারে যে- গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সের রচনা।
[দেখুন: ৬১ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গীতবিতানের প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত ৭৮) পর্যায়ের ২৬৫ সংখ্যক গান।
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড (১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২)। ঋতুচক্র ৬৩। পৃষ্ঠা: ১৬৫। [নমুনা]
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৩৬-৩৮।
পত্রিকা: প্রবাসী (চৈত্র ১৩২৮ বঙ্গাব্দ)।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫,নবগীতিকা) খণ্ড (বৈশাখ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চদশ খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: খাম্বাজ। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৬
গ্রহস্বর- পধা।
লয়- মধ্য।