গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় এল আমার মনে
পাঠ ও পাঠভেদ:
বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় এল আমার মনে,
কোন্ সে কবির ছন্দ বাজে ঝরো ঝরো বরিষনে॥
যে মিলনের মালাগুলি ধুলায় মিশে হল ধূলি
গন্ধ তারি ভেসে আসে আজি সজল সমীরণে॥
সে দিন এমনি মেঘের ঘটা রেবানদীর তীরে,
এমনি বারি ঝরেছিল শ্যামলশৈলশিরে।
মালবিকা অনিমিখে চেয়ে ছিল পথের দিকে,
সেই চাহনি এল ভেসে কালো মেঘের ছায়ার সনে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩২৯
বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের প্রথম থেকেই রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ছিলেন। প্রবল
বর্ষণের মধ্যে শান্তিনিকেতনে বর্ষা শুরু হয়েছিল। ১লা আষাঢ় থেকে ৩১শে আষাঢ়ের
ভিতরে রবীন্দ্রনাথ গানটি -সহ মোট
৮টি গান রচনা
করেছিলেন।
এর ভিতরে তিনি গানটি রচনা করেছিলেন-
১ আষাঢ় [বৃহস্পতিবার ১৫
জুন, ১৯২২]।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬১ বৎসর
২ মাস ।
[রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
গীতবিতান-এর প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-৪৬) পর্যায়ের ৭১ সংখ্যক গান।
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড (১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। ঋতু-চক্র ১৪। পৃষ্ঠা: ১৩৪। [নমুনা]
বর্ষামঙ্গল (শ্রাবণ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ৪৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৪১-৪২।
১৩২৯ সালের শ্রাবণে মাসের শেষ 'বর্ষামঙ্গল' নামে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের কথা ছিল। পরে এই তারিখ পিছিয়ে ৩১ শ্রাবণ [বুধবার ১৬ আগষ্ট ১৯২২] করা হয়। 'বর্ষামঙ্গল' প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল রামমোহন লাইব্রেরি হলে। এই উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত 'বর্ষামঙ্গল' নামক ১৬ পৃষ্ঠার একটি পুস্তিকাতে মোট ১৮টি গান প্রকাশিত হয়। ওই পুস্তিকাতে এই গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
পত্রিকা:
অলকা (আষাঢ় ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
প্রবাসী (ভাদ্র ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান ১৫ খণ্ডে মুদ্রিত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৩।৩ ছন্দে নিবদ্ধ। গানটি 'দাদরা' তালে গীত হয়ে থাকে।
রাগ:। তাল: দাদরা।
গ্রহস্বর: পা।
লয়: ঈষৎ দ্রুত।