বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আজ নবীন
মেঘের সুর লেগেছে আমার মনে।
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: প্রকৃতি
(উপ-বিভাগ : বর্ষা-৪০)
পর্যায়ের
৬৫
সংখ্যক গান।
আজ নবীন
মেঘের সুর লেগেছে আমার মনে।
আমার ভাবনা যত
উতল হল অকারণে॥
কেমন ক’রে যায়
যে ডেকে, বাহির করে ঘরের থেকে,
ছায়াতে চোখ ফেলে ছেয়ে ক্ষণে ক্ষণে॥
বাঁধনহারা জলধারার কলরোলে
আমারে
কোন্ পথের বাণী যায় যে ব’লে।
সে পথ গেছে
নিরুদ্দেশে মানসলোকে গানের শেষে
চিরদিনের বিরামহীন কুঞ্জবনে॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
-
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩২৯
বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের প্রথম থেকেই রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ছিলেন। প্রবল
বর্ষণের মধ্যে শান্তিনিকেতনে বর্ষা শুরু হয়েছিল। ১লা আষাঢ় থেকে ৩১শে আষাঢ়ের
ভিতরে রবীন্দ্রনাথ গানটি -সহ মোট
৮টি গান রচনা
করেছিলেন।
এর ভিতরে তিনি গানটি রচনা করেছিলেন-
১৮ আষাঢ় [রবিবার ২ জুলাই, ১৯২২]।
এর ভিতরে তিনি গানটি রচনা করেছিলেন-
২ আষাঢ় [শুক্রবার ১৬ জুন, ১৯২২]।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬১ বৎসর
২ মাস ।
[রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
গীতবিতান
- দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম
সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৩৮)
- দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয়
সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৪৮)
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
প্রকৃতি
(উপ-বিভাগ : বর্ষা-৪০)
পর্যায়ের
৬৫
সংখ্যক গান।
-
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড (১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
-
প্রবাহিনী
(বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
ঋতু-চক্র
১৩।
পৃষ্ঠা: ১৩৩-১৩৪। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
বর্ষামঙ্গল (শ্রাবণ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
-
স্বরবিতান
পঞ্চদশ
(১৫,
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড)
খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
৪৪ সংখ্যক
গান।
পৃষ্ঠা ১৩৮-১৪০।
পত্রিকা:
- প্রবাসী (ভাদ্র
১৩২৯
বঙ্গাব্দ)।
- বুধবার পত্রিকা
(শ্রাবণ ১৩২৯
বঙ্গাব্দ)।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২৯ সালের শ্রাবণে
মাসের শেষ 'বর্ষামঙ্গল' নামে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের কথা ছিল। পরে এই তারিখ পিছিয়ে
৩১ শ্রাবণ [বুধবার ১৬ আগষ্ট ১৯২২] করা হয়। 'বর্ষামঙ্গল' প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল
রামমোহন লাইব্রেরি হলে। এই উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত 'বর্ষামঙ্গল' নামক ১৬ পৃষ্ঠার
একটি পুস্তিকাতে মোট ১৮টি গান প্রকাশিত হয়। ওই পুস্তিকাতে এই গানটি প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান
পঞ্চদশ
(১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের
(চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত
মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত
স্বরলিপিটি ৩।৩
মাত্রা ছন্দে দাদরা
তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ:
মিশ্র মল্লার। তাল:
দাদরা
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৫]।
- রাগ:
খাম্বাজ। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৪৯।
গ্রহস্বর:
সা।
লয়:
দ্রুত।