হে তাপস, তব শুষ্ক কঠোর রূপের গভীর রসে
মন আজি মোর উদাস বিভোর কোন্ সে ভাবের বশে॥
তব পিঙ্গল জটা হানিছে দীপ্ত ছটা,
তব দৃষ্টির বহ্নিবৃষ্টি অন্তরে গিয়ে পশে॥
বুঝি না, কিছু না জানি
মর্মে আমার মৌন তোমার কী বলে রুদ্রবাণী।
দিগ্দিগন্ত দহি দুঃসহ তাপ বহি
তব নিশ্বাস আমার বক্ষে রহি রহি নিশ্বসে॥
সারা হয়ে এলে দিন
সন্ধ্যামেঘের মায়ার মহিমা নিঃশেষে হবে লীন।
দীপ্তি তোমার তবে শান্ত হইয়া রবে,
তারায় তারায় নীরব মন্ত্রে ভরি দিবে শূন্য সে॥
উতলা তার হিয়া আজি সজল হাওয়ায় দোলে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩২৯
বঙ্গাব্দ।
রবীন্দ্রনাথের ৬০ বৎসর বয়সের রচনা।
[সূত্র : গীতবিতান
কালানুক্রমিক সূচী, প্রভাতকুমার মুখোপধ্যায় (পৌষ ১৪১০ বঙ্গাব্দ সংস্করণ)]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: স্বরলিপি নাই।
সুর ও তাল:
সুর অজ্ঞাত। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৪।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ: