বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে,
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে,
সে যে বাসা বাঁধে নীরব মনের কুলায়ে॥
মেঘের দিনে শ্রাবণ মাসে যূথীবনের দীর্ঘশ্বাসে
আমার-প্রাণে সে দেয় পাখার ছায়া বুলায়ে॥
যখন শরৎ কাঁপে শিউলিফুলের হরষে
নয়ন ভরে যে সেই গোপন গানের পরশে।
গভীর রাতে কী সুর লাগায় আধো-ঘুমে আধো-জাগায়,
আমা স্বপন-মাঝে দেয় কী দোল দুলায়ে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
শ্রাবণ ১৩২৯। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি, কলকাতা।
এই গানটির রচনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে, শান্তিদেব ঘোষ তাঁর
রবীন্দ্রসঙ্গীত গ্রন্থে লিখেছেন
—
'১৩২৯ সালে কলকাতায় বিশ্বভারতীর তরফ থেকে 'বর্ষামঙ্গলে'র আয়োজন উপলক্ষে অনেক নতুন
বর্ষার গান রচিত হয়েছিল। আমরা সব গানের দল কলকাতায় কিছুদিন পূর্বেই জড়ো হয়েছি। খুব
জোর মহড়া চলেছিল, জোড়াসাঁকোর বাড়ি সরগরম হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যে একদিন হঠাৎ ঠাণ্ডায়
গুরুদেবের গলা গেল বসে। বর্ষামঙ্গলে তাঁর আবৃত্তি ইত্যাদি ছিল প্রধান আকর্ষণ, ভাঙা
গলা নিয়ে মহা ভাবনায় পড়লেন—
নানাপ্রকার ওষুধ পাঁচন নিজে খাচ্ছেন, আমাদেরও খাওয়াচ্ছেন, আমাদেরও গলা যাতে না
ভাঙে। সেই ভাঙা গলায় একটি গান রচনা করে দিনেন্দ্রনাথ ও আমাদের সকলকে ডেকে শিখিয়ে
দিলেন সন্ধ্যায় গাইবার জন্য। গানটি হল 'আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে।' [রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শান্তিদেব ঘোষ। বিশ্বভারতী, পৌষ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ।]
উল্লেখ্য, শান্তিদেব ঘোষের কথিত ওই অনুষ্ঠানটি ('বর্ষামঙ্গল')
হয়েছিল—
ভাদ্র মাসের ২ তারিখে
কলকাতার হ্যারিসন রোডে। সুতরাং ধরা যায় এই গানটি
শ্রাবণ মাসে রচিত হয়েছিল। এই
বিচারে গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর ৩ মাসের রচনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)
দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রেম (উপ-বিভাগ : গান-১৩) পর্যায়ের ১৩ সংখ্যক গান।
নবগীতিকা দ্বিতীয় ভাগ [১৩২৯]
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। গীতগান ২৫। পৃষ্ঠা ১৯-২০। [নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ]
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) খণ্ডের ৫৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৮০-১৮১।
পত্রিকা:
শান্তিনিকেতন পত্রিকা (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)
রাগ: খাম্বাজ। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৫।]