বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
অনেক কথা যাও যে ব'লে কোনো কথা না বলি।
পাঠ ও পাঠভেদ:
অনেক কথা যাও যে ব'লে কোনো কথা না বলি।
তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি॥
যে আছে মম গভীর প্রাণে ভেদিবে তারে হাসির বাণে,
চকিতে চাহ মুখের পানে তুমি যে কুতুহলী।
তোমারে তাই এড়াতে চাই, ফিরিয়া যাই চলি॥
আমার চোখে যে চাওয়াখানি ধোওয়া সে আঁখিলোরে-
তোমারে আমি দেখিতে পাই, তুমি না পাও মোরে।
তোমার মনে কুয়াশা আছে, আপনি ঢাকা আপন-কাছে-
নিজের অগোচরেই পাছে আমারে যাও ছলি
তোমারে তাই এড়াতে চাই, ফিরিয়া যাই চলি॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms. 027
Ms. 028
Ms. 0288
Ms. 0298
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩৩২ বঙ্গাব্দে
১২ই চৈত্র থেকে ২৭ চৈত্র পর্যন্ত
শান্তিনিকেতনে
থাকা অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ মোট ১৯টি গান রচনা করেন। এর ভিতর
২১ চৈত্র ১৩৩২ (৪ এপ্রিল ১৯২৬
খ্রিষ্টাব্দ)।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
৬৪
বৎসর ১১ মাস
ঘ. প্রাসঙ্গিক পাঠ: গানটি রবীন্দ্রনাথ তাঁর পুত্র রথীন্দ্রনাথের পালিতা কন্যা
নন্দিনী দেবী (পুপে) -এর উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন।
শান্তিদেব ঘোষ তাঁর 'রবীন্দ্রসংগীত' গ্রন্থের 'কয়েকটি তথ্য' নামক অধ্যায়ে এ বিষয়ে
উল্লেখ করেছেন
'প্রায় ষোল বৎসর পূর্বে, তখন শ্রীযুক্ত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা নন্দিনী অতি শিশু, গুরুদেবের কাছে সে নানা প্রকার গল্প শুনতে ভালোবাসত এবং নিজেও আপন মনে শিশুসুলভ নানা কথা গুরুদেবকে শোনাত। গুরুদেবের কাছে সব সময় সব কথা স্পষ্ট হত না, কিন্তু খুব উপভোগ করতেন তার সেই বাক্যালাপ। সেই সময় তার কথা ভেবেই গান লিখেছিলেন, 'অনেক কথা যাও যে বলে কোনো কথা না বলি, তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি'।
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩]
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৬।]