হে ক্ষণিকের অতিথি,
এলে প্রভাতে কারে চাহিয়া
ঝরা শেফালির পথ বাহিয়া॥
কোন্ অমরার বিরহিণীরে চাহ নি ফিরে,
কার বিষাদের শিশিরনীরে এলে নাহিয়া॥
ওগো অকরুণ, কী মায়া জানো,
মিলনছলে বিরহ আনো।
চলেছ পথিক আলোকযানে আঁধার-পানে
মনভুলানো মোহনতানে গান গাহিয়া॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটি রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। গানটি শান্তিনিকেতন পত্রিকার ১৩৩২ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬৪ বৎসর ৬ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
পত্রিকা:
শান্তিনিকেতন পত্রিকা (কার্তিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
সঙ্গীত-বিজ্ঞান (অগ্রহায়ণ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)। অনাদিকুমার দস্তিদার-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
সবুজপত্র (কার্তিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৫৩ বৎসর ১১ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]।
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান একত্রিংশ খণ্ডে (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৪১২) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : ভৈরবী [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৫]
রাগ : ভৈরবী। তাল : কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৫।
রাগ: ভৈরবী। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৭।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।