তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই
মনোহরণ চপলচরণ সোনার হরিণ চাই॥
সে-যে চমকে বেড়ায়, দৃষ্টি এড়ায়, যায় না তারে বাঁধা।
সে-যে নাগাল পেলে পালায় ঠেলে, লাগায় চোখে ধাঁদা।
আমি ছুটব পিছে মিছে মিছে পাই বা নাহি পাই―
আমি আপন-মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই॥
তোরা পাবার জিনিস হাটে কিনিস, রাখিস ঘরে ভরে―
যারে যায় না পাওয়া তারি হাওয়া লাগল কেন মোরে।
আমার যা ছিল তা গেল ঘুচে যা নেই তার ঝোঁকে―
আমার ফুরোয় পুঁজি, ভাবিস বুঝি মরি তারি শোকে?
আমি আছি সুখে হাস্যমুখে, দুঃখ আমার নাই।
আমি আপন-মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই॥
 স্বরবিতান ষট্পঞ্চাশত্তম (৫৬) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) 
পাঠভেদ অংশে এই গানটির একটি পাঠভেদ রয়েছে-
    তোরা যে যা বলিস ভাই
          মনোহরণ চপলচরণ...
          সে-যে    
নাগাল পেল...
          আমি      
ছুটব পিছে...
          যারে      
যায় না পাওয়া...
        
আমার    যা 
ছিল তা গেল ঘুচে যা নেই
                            
তার ঝোঁকে...
                           
মরি তারি শোকে?
         আমি      
আছি সুখে হাস্যমুখে...                           
:    স্বরলিপি, স্বরবিতান-৫৬
        
সেই মনোহরণ 
চপলচরণ...
         তা'র    নাগাল 
পেলে...
         তবু      
ছুটব পিছে...
         যাহা      
যায় না পাওয়া...
        
আমার    যা ছিল তা দিলেম 
কোথা
                            
যা নেই তার ঝোঁকে...
                           
মরি তাহার শোকে।
         ওরে      
আছি সুখে হাস্যমুখে...                           
:    গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
স্বরবিতান ষট্পঞ্চাশত্তম (৫৬) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের কোন উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ : বেহাগড়া [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৪]
রাগ: বেহাগ-বাউল। তাল- দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯১৩)। পৃষ্ঠা : ৫৭]।
      
গ্রহস্বর :
না।
       লয় : মধ্য।