বিষয়: 
		রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা:
		শিরোনাম: 
		কে আমারে যেন এনেছে ডাকিয়া
		পাঠ 
ও পাঠভেদ: 
		
কে আমারে যেন এনেছে ডাকিয়া, এসেছি ভুলে।
তবু একবার চাও মুখপানে নয়ন তুলে।
দেখি ও নয়নে নিমেষের তরে সে দিনের ছায়া পড়ে কি না পড়ে,
সজল আবেগে আঁখিপাতা-দুটি পড়ে কি ঢুলে।
ক্ষণেকের তরে ভুল ভাঙায়ো না, এসেছি ভুলে॥
ব্যথা দিয়ে কবে কথা কয়েছিলে পড়ে না মনে,
দূরে থেকে কবে ফিরে গিয়েছিলে নাই স্মরণে।
শুধু মনে পড়ে হাসিমুখখানি, লাজে বাধো-বাধো সোহাগের বাণী,
মনে পড়ে সেই হৃদয়-উছাস নয়নকূলে।
তুমি যে ভুলেছ ভুলে গেছি, তাই এসেছি ভুলে॥
কাননের ফুল এরা তো ভোলে নি, আমরা ভুলি।
এই তো ফুটেছে পাতায় পাতায় কামিনীগুলি।
চাঁপা কোথা হতে এসেছে ধরিয়া অরুণকিরণ কোমল করিয়া,
বকুল ঝরিয়া মরিবারে চায় কাহার চুলে।
কেহ ভোলে কেউ ভোলে না যে, তাই এসেছি ভুলে॥
এমন করিয়া কেমনে কাটিবে মাধবীরাতি।
দখিনবাতাসে কেহ নাহি পাশে সাথের সাথি।
চারি দিক হতে বাঁশি শোনা যায়, সুখে আছে যারা তারা গান গায়―
আকুল বাতাসে, মন্দির সুবাসে, বিকচ ফুলে,
এখনো কি কেঁদে চাহিবে না কেউ আসিলে ভুলে॥
	পাণ্ডুলিপির 
	পাঠ:
	
	 
	স্বরবিতান 
 ত্রয়স্ত্রিংশ (৩৩, কাব্যগীতি) খণ্ডের 
(অগ্রহায়ণ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) পাঠভেদ অংশে এই গানটির একটি পাঠভেদ রয়েছে-
    
কে আমারে যেন এনেছে ডাকিয়া
          এই তো ফুটেছে পাতায় 
পাতায়...
          দখিন বাতাসে কেহ নাহি পাশে                   
:      স্বরলিপি, কাব্যগীতি (১৩২৬)
        
        
সেই 
তো ফুটিছে পাতায় পাতায়...
          
দখিণ বাতাসে কেহ নাহি পাশে                   
:       কথার অংশ, কাব্যগীতি (১৩২৬)
                                                                           
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
         
এখনো কি কেঁদে চাহিবে না কেউ                 
:       কথার অংশ, কাব্যগীতি (১৩২৬)
                                                                           
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
         
এখনো কি কেঁদে আসিবে না কেউ                 
:      স্বরলিপি, কাব্যগীতি (১৩২৬)
তথ্যানুসন্ধান
	ক. রচনাকাল ও স্থান: 
	বৈশাখ ১২৯৪ 
বঙ্গাব্দ। ৪৯ পার্ক স্ট্রিট,কোলকাতা।  
[সূত্র : 
গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী। 
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়]
                                 
গানটি রবীন্দ্রনাথের ২৬ বৎসর বয়সের রচনা।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
রাগ ও তাল:
কাব্যগীতি (পৌষ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)।
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। মানসী। শিরোনাম ভুলে। পৃষ্ঠা: ১৫২-১৫৩][নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ]
গীতবিতানের প্রেম (প্রেম বৈচিত্র্য-১৬১)পর্যায়ের ১৮৮ সংখ্যক গান।
			
			মানসী 
			
			প্রথম সংস্করণ 
			[আদি 
			ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, কালিদাস চক্রবর্তী কর্তৃক মুদ্রিত। ১০ পৌষ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ। 
			শিরোনাম 
			ভুলে। 
			পৃষ্ঠা: ৩-৫] 
			[নমুনা:
			প্রথমাংশ,
			
			দ্বিতীয়াংশ] 
			দ্বিতীয় সংস্করণ 
			[ইন্ডিয়ান প্রেস 
			লিমিটেড, ১৩২৮ বঙ্গাব্দ। 
			শিরোনাম
			ভুলে। 
			পৃষ্ঠা: ২-৫] [নমুনা:
			
			প্রথমাংশ,
			
			শেষাংশ]
			
স্বরবিতান ত্রয়স্ত্রিংশ (৩৩, কাব্যগীতি) খণ্ডের (অগ্রহায়ণ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা ৮-৯।
পত্রিকা:
ভারতী ও বালক, 'এসেছি ভুলে' (আষাঢ় ১২৯৪ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান ত্রয়স্ত্রিংশ (৩৩, কাব্যগীতি) খণ্ডের (অগ্রহায়ণ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের কোন উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ : রবীন্দ্র ভৈরব। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৫]
রাগ: মিশ্র পরজ। তাল- দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯১৩)। পৃষ্ঠা : ৪৫]।
রাগ: ভৈরব, ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৮৩।]
      
গ্রহস্বর :
র্সর্জ্ঞা।
       লয় : মধ্য।