বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার শেষ রাগিণীর প্রথম
ধুয়ো ধরলি রে কে তুই।
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার শেষ রাগিণীর প্রথম ধুয়ো ধরলি রে কে তুই।
আমার শেষ পেয়ালা চোখের জলে ভরলি রে কে তুই॥
দূরে পশ্চিমে ওই দিনের পারে অস্তরবির পথের ধারে
রক্তরাগের ঘোমটা মাথায় পরলি রে কে তুই॥
সন্ধ্যাতারায় শেষ চাওয়া তোর রইল কি ওই-যে।
সন্ধ্যা-হাওয়ায় শেষ বেদনা বইল কি ওই-যে।
তোর হঠাৎ-খসা প্রাণের মালা ভরল আমার শূন্য ডালা-
মরণপথের সাথি আমায় করলি রে কে তুই॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms 162
BMSF
021:
[নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
শান্তিনিকেতনের পুরানো
উত্তরায়ণ নামক বাড়ির পাশে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও
প্রতিমা দেবীর বসবাসের জন্য একটি মাটির বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। এই বাড়িটির নামকরণ
করা হয়েছিল 'মৃন্ময়ী'। এখন আর সে বাড়ি নেই। যতটুকু জানা যায়, দীর্ঘকাল পরে পিয়ার্সন
শান্তিনিকেতনে ফিরে এলে তিনি এই বাড়িতে উঠেছিলেন। ১৩৩০ বঙ্গাব্দে পশ্চিম ভারত ঘুরে
এসে রবীন্দ্রনাথ এই বাড়িতে উঠেছিলেন। ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ২ পৌষ-এ তিনি এই বাড়িতে
এই গানটি রচনা
করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬২ বৎসর ৮ মাস।
গীতমালিকা প্রথম খণ্ড (১৩৩৩) ।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। অবসান ১০। পৃষ্ঠা: ৮৩। [নমুনা]
স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা প্রথম খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৪) ৩৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১১৭-১১৮।
পত্রিকা:
শান্তিনিকেতন পত্রিকা (চৈত্র ১৩৩০)। অনাদিকুমার দস্তিদার-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রাগ: বেহাগ। তাল: দাদরা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩১]।
রাগ: বেহাগ। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৮।]