বিষয়: 
রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: 
লিখন তোমার ধুলায় হয়েছে ধূলি
পাঠ ও পাঠভেদ:
লিখন তোমার ধুলায় হয়েছে ধূলি,
হারিয়ে গিয়েছে তোমার আখরগুলি॥
চৈত্ররজনী আজ বসে আছি একা, পুন বুঝি দিল দেখা-
বনে বনে তব লেখনীলীলার রেখা,
নবকিশলয়ে গো কোন্ ভুলে এল ভুলি তোমার পুরানো আখরগুলি॥
মল্লিকা আজি কাননে কাননে কত
সৌরভে-ভরা তোমারি নামের মতো।
কোমল তোমার অঙ্গুলি-ছোঁওয়া বাণী মনে দিল আজি আনি
বিরহের কোন্ ব্যথাভরা লিপিখানি।
মাধবীশাখায় উঠিতেছে দুলি দুলি তোমার পুরানো আখরগুলি॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি MS. NO 028: পৃষ্ঠা: ৮ পৃষ্ঠায় এই গানটি পাওয়া যায়। [পাণ্ডুলিপি]
	পাঠভেদ: 
	
লিখন তোমার ধুলায় হয়েছে ধূলি
                  
	পুন বুঝি দিল দেখা...
                                    
	তোমার পুরানো আখরগুলি...
                  
	মনে দিল আজি আনি
                  
	বিরহের কোন্ ব্যথাভরা লিপিখানি...
                                    
	তোমার পুরানো আখরগুলি                 
	:     
	স্বরলিপি ৩ (বৈশাখ ১৩৪৫)
                  
	মনে হয় কেন পূন 
বুঝি দিল দেখা...
                                    
	তোমার আখরগুলি...
                  
	দখিন পবনে মনে দিল আজি আনি,
                  
	বিরহব্যথার প্রথম পত্রখানি...
                                    
	তোমার আখরগুলি                           
	:     গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৩৯)
তথ্যানুসন্ধান
	ক. রচনাকাল ও স্থান: 
	রবীন্দ্রনাথের 
	পাণ্ডুলিপি 
	MS. NO 028-এর 
	সাথে তারিখ ও স্থানের কোনো উল্লেখ নেই। 
	১৩৩২-৩৩
	
	বঙ্গাব্দের চৈত্র-বৈশাখ মাসের 
	মধ্যকালীন সময়ে 
	এই 
	গানটি রচিত হয়। এই বিচারে গানটি রবীন্দ্রনাথের 
	৬৪ বৎসর বয়সের রচনা
	
	[স্বরবিতান
	তৃতীয় 
	(৩) 
	খণ্ড (মাঘ ১৪১২
	
	বঙ্গাব্দ)]।
	
	এই গানটির রচনার প্রেক্ষাপট 
নিয়ে রাণী মহলানবীশ লিখেছেন—
	
	
	...'যখন "লিখন তোমার ধূলায় 
হয়েছে ধূলি" গানটা কবির মুখে প্রথম শুনলাম, শেখাতে গিয়ে বল্লেন' "জানো এ গানটা  
লেখা হোলো কেমন করে? চাতালে বসে দেখলুম গ্রীষ্মের শুকনো হাওয়ায় লাল কাঁকরের রাস্তার 
উপর ফরফর করে একটা ছেঁড়া চিঠির টুকরো উড়ে চলেছে; ব্যাস ঐ টুকু। কেমন যেন মনের মধ্যে 
একটা ছবি তৈরী হয়ে উঠলো যে একদিন যে চিঠির কতো আদর ছিল আজ তা অনাদরে পথের ধূলোর উপর 
উড়ে চলে যাচ্ছে। এই ছবিটাতে মন উদাস হোলো বলেই সঙ্গে সঙ্গে গান আপনি তৈরী হয়ে 
উঠেছে।
 
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি: [নমুনা: মূল স্বরলিপি] [সুরান্তর]
	স্বরলিপিকার:স্বরবিতান
	
	তৃতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে (আশ্বিন ১৩৪৩) এই গানটির 
	স্বরলিপিটি ছিল
	
	দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত। 
	
	স্বরবিতান
	
	তৃতীয় খণ্ডের সর্বশেষ সংস্করণ (অগ্রহায়ণ ১৩৭৭) এই স্বরলিপিটির অংশবিশেষ পরে 
	পাঠান্তর হিসেবে সুরভেদ ছন্দোভেদ পত্রে যুক্ত হয়েছে। [পৃষ্ঠা: ১৬১] মূল 
	স্বরলিপিটি অনাদিকুমার দস্তিদারের সম্পাদিত।
	            [দিনেন্দ্রনাথ 
	ঠাকুর-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
সুর ও তাল:
	
	
			স্বরবিতান
			তৃতীয়(৩)
			খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩। ৩ মাত্রা ছন্দে
			দাদরা তালে নিবদ্ধ। 
			
          
			
			[
					দাদরা তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ : মিশ্র। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৬]
রাগ : বেহাগ। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৭৭।
রাগ: বেহাগ, খাম্বাজ। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৪।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।