বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তৃষ্ণার
শান্তি, সুন্দরকান্তি,
পাঠ
ও পাঠভেদ:
তৃষ্ণার শান্তি, সুন্দরকান্তি,
তুমি এলে নিখিলের সন্তাপভঞ্জন॥
আঁকো ধরাবক্ষে দিগ্বধূচক্ষে
সুশীতল সুকোমল শ্যামরসরঞ্জন।
এলে বীরছন্দে তব কটিবন্ধে
বিদ্যুৎ-অসিলতা বেজে ওঠে ঝঞ্ঝন॥
তব উত্তরীয়ে ছায়া দিলে ভরিয়ে—
তমালবনশিখরে নবনীল-অঞ্জন।
ঝিল্লির মন্দ্রে মালতীর গন্ধে
মিলাইলে চঞ্চল মধুকরগুঞ্জন।
নৃত্যের ভঙ্গে এলে নব রঙ্গে,
সচকিত পল্লবে নাচে যেন খঞ্জন॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা কবির বহু পুরাতন রচনা চিত্রাঙ্গদা (ভাদ্র ১২৯৯ বঙ্গাব্দ) কাব্যের কাহিনী অবলম্বনে রচিত এবং কলিকাতায় ‘নিউ এম্পায়ার থিয়েটার’এ ১৩৪২ সালের ২৭, ২৮, ২৯ ফাল্গুন তারিখে অভিনীত হওয়ার উপলক্ষে প্রথম প্রকাশিত। এই বিচারে গানটির বলা যায়, ১৩৪২ বঙ্গাব্দের মাঘ- ফাল্গুন মাসের দিকেই রচিত। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৭৪ বৎসর ৯-১০ মাস।
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
গ্রন্থ:
গীতবিতানের প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-৯১) পর্যায়ের ১১৬ সংখ্যক গান।
চিত্রাঙ্গদা, নৃত্যনাট্য (১৩৪২ বঙ্গাব্দ)। সমবেত নৃত্য সহযোগে গান। রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৯৫ বঙ্গাব্দ)।
শ্রাবণগাথা (শ্রাবণ ১৩৪১ বঙ্গাব্দ)। নটরাজের গান। রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৯৫ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান সপ্তদশ (১৭, চিত্রাঙ্গদা) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) গান। পৃষ্ঠা ১১৬-১১৭।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান সপ্তদশ (১৭, চিত্রাঙ্গদা) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৪) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : বেহাগ। তাল : কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।। পৃষ্ঠা: ৫৫]।
রাগ : বেহাগ। তাল: ত্রিতাল [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৯৮।]
গ্রহস্বর : পা।