বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ও মঞ্জরী, ও
মঞ্জরী আমের মঞ্জরী
পাঠ ও পাঠভেদ:
-
গীতবিতান অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর পাঠ:
ও মঞ্জরী,
ও মঞ্জরী আমের মঞ্জরী,
আজ
হৃদয় তোমার উদাস হয়ে
পড়ছে কি ঝরি॥
আমার
গান যে তোমার গন্ধে মিশে দিশে দিশে
ফিরে ফিরে ফেরে গুঞ্জরি॥
পূর্ণিমাচাঁদ তোমার শাখায় শাখায়
তোমার
গন্ধ-সাথে আপন আলো মাখায়।
ওই দখিন-বাতাস গন্ধে পাগল ভাঙল আগল,
ঘিরে ঘিরে ফিরে সঞ্চরি॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
-
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
২৮ ফাল্গুন ১৩২৮,
শান্তিনিকেতন।
[স্বরবিতান
পঞ্চদশ
(১৫,
গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড)
খণ্ডের
(চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
রবীন্দ্রনাথের ৬০ বৎসর ১০ মাস বয়সের রচনা।
এই
গানটির রচনা সংক্রান্ত একটি ভূমিকা দেয়া আছে শান্তিদেব ঘোষ-কৃত 'রবীন্দ্রসঙ্গীত'
(আশ্বিন ১৪১৫ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা-২০৪)
বইটিতে, যা নিচে উল্লেখ করা হল-
"শান্তিনিকেতনের জনৈক প্রাক্তন ছাত্রের দ্বারা বর্ণিত আরো দুটি গানের কথা এখানে
তুলে দিচ্ছি―"মনে
পড়ে বসন্তোৎসবের কথা (১৩২৮)। দিনুবাবুর বাড়িতে সকালবেলা মহড়া চলেছে। এমন সময় এলেন
মঞ্জুশ্রী দেবী [সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা]। কবি তাকে দেখেই বলে উঠলেন, 'দিনু, এই
যে আমের মঞ্জুরী এসেছে;তাহলে আমের বোলের গানটা মঞ্জুই গাইবে, কি বলিস্?' উত্তরে
দিনুবাবু বললেন, 'তা আমাদের পালায় ত আমের মঞ্জুরী নেই।' সহসা কবির ভুল ভাঙল, বললেন,
'তা কি আর হয়েছে, নাতনীর সঙ্গে নয় একটু পরিহাস করলুম।' কিন্তু এই নেহাত ব্যক্তিগত
পরিহাসকে কেন্দ্র করেই কবি বিকেলবেলা লিখে নিয়ে এলেন―
'ও মঞ্জরী,
ও মঞ্জরী আমের মঞ্জরী।' "
-
খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
গীতবিতানের প্রকৃতি
(উপ-বিভাগ :
বসন্ত-৫) পর্যায়ের ১৯২ সংখ্যক গান।
-
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড
(১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত।দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিসহ
মুদ্রিত।
-
নবীন (ফাল্গুন ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)।
-
প্রবাহিনী
(বিশ্বভারতী ১৩৩২)। ঋতুচক্র ৬৯। পৃষ্ঠা: ১৬৯। [নমুনা]
-
স্বরবিতান
পঞ্চদশ
(১৫,
গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড)
খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
১৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫২-৫৪।
- পত্রিকা:
- গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান
পঞ্চদশ
(চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)-এ
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত
স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা
ছন্দে
দাদরা তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ:
মিশ্র কানাড়া।
তাল:
দাদরা।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪০]
-
রাগ:
বৃন্দাবনীসারং। তাল:
কাহারবা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত।
প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই
২০০১। পৃষ্ঠা: ৭৩]
-
গ্রহস্বর :
রা।
-
লয় : মধ্য।