বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা:
		শিরোনাম: 
কী হল আমার!
পাঠ ও পাঠভেদ:
কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন দিয়ে যাও, শেষে দাও মুছে।
ওহে চঞ্চল, বেলা না যেতে খেলা কেন তব যায় ঘুচে॥
চকিত চোখের অশ্রুসজল বেদনায় তুমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে চল-
কোথা সে পথের শেষ কোন্ সুদূরের দেশ
সবাই তোমায় তাই পুছে॥
বাঁশরির ডাকে কুড়ি ধরে শাখে, ফুল যবে ফোটে নাই দেখা।
তোমার লগন যায় যে কখন, মালা গেঁথে আমি রই একা।
'এসো এসো এসো' আঁখি কয় কেঁদে। তৃষিত বক্ষ বলে 'রাখি বেঁধে'।
যেতে যেতে, ওগো প্রিয়, কিছু ফেলে রেখে দিও
ধরা দিতে যদি নাই রুচে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ: গানটির পাঠভেদ আছে।
ওহে চঞ্চল, বেলা না যেতে :স্বরলিপি, গীতিমালিকা-১ (১৩৩৩ ও ১৩৪৫)
ওহে চঞ্চল, বেলা নাহি যেতে :কথার অংশ গীতিমালিকা-১ (১৩৩৩ ও ১৩৪৫)
গীতবিতান (শ্রাবণ ১৩৩৯ ও ভাদ্র ১৩৪৬)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ফাল্গুন ১৩৩১ বঙ্গাব্দ (১০ মার্চ ১৯২৫)।
                            গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৩ 
বৎসর ১১ মাস বয়সের রচনা
১৩৩১ 
বঙ্গাব্দের 
২৬ ফাল্গুন 
 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
বসন্তবরণের উদ্দেশ্যে 'সুন্দর' নামে একটি নাটিকা রচনা করেন। নাটিকাটিতে মোট ২৪টি গান 
ছিল।  ঐ বছরের বসন্ত উৎসবে আম্রকুঞ্জে নাটিকাটি পরিবেশনের পরিকল্পনা 
থাকলেও, প্রাকৃতিক দু্র্যোগের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠে নি।  বছর শেষে ১২টি 
গান অন্তর্ভুক্ত করে চার ভাঁজ করা মোট আট পৃষ্ঠার একটি বড় কাগজে 'সুন্দর' নামে একটি 
অভিনয়পত্র ছাপা হয়। এই ১২টি গানের ভিতরে এই গানটির উল্লেখ ছিল। 
		
		স্বরবিতান ত্রিংশ 
		(৩০, 
গীতমালিকা-১) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। 
		
		উক্ত স্বরলিপিটি 
৩।৩ 
মাত্রা ছন্দে
		
		দাদরা'
		তালে নিবদ্ধ।
		
                
[দাদরা তালে 
নিব্দ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
                
[স্বরলিপি]
রাগ: খাম্বাজ। তাল: দাদরা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪৫]
চ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: