বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি।
পাঠ ও পাঠভেদ:
‘আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি।
সন্ধ্যাবেলার চামেলি গো, সকালবেলার মল্লিকা
আমায় চেন কি।’
‘চিনি তোমায় চিনি, নবীন পান্থ―
বনে বনে ওড়ে তোমার রঙিন বসনপ্রান্ত-
ফাল্গুন প্রাতের উতলা গো, চৈত্র রাতের উদাসী
তোমার পথে আমরা ভেসেছি।’
‘ঘরছাড়া এই পাগলটাকে এমন ক’রে কে গো ডাকে
করুণ গুঞ্জরি,
যখন বাজিয়ে বীণা বনের পথে বেড়াই সঞ্চরি।’
‘আমি তোমায় ডাক দিয়েছি ওগো উদাসী,
আমি আমের মঞ্জরী।
তোমায় চোখে দেখার আগে তোমার স্বপন চোখে লাগে,
বেদন জাগে গো―
না চিনিতেই ভালো বেসেছি।’
যখন ফুরিয়ে বেলা চুকিয়ে খেলা তপ্ত ধুলার পথে
যাব ঝরা ফুলের রথে―
তখন সঙ্গ কে লবি’
‘লব আমি মাধবী।’
‘যখন বিদায়-বাঁশির সুরে সুরে শুকনো পাতা যাবে উড়ে
সঙ্গে কে র’বি।’
‘আমি রব, উদাস হব ওগো উদাসী,
আমি তরুণ করবী।’
‘বসন্তের এই ললিত রাগে বিদায়-ব্যথা লুকিয়ে জাগে―
ফাগুন দিনে গো
কাঁদন-ভরা হাসি হেসেছি।’
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 111 [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
পাঠভেদ:
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
এই গানটির খসড়া
পাওয়া যায় পাণ্ডুলিপি
MS. NO 111
তে। গানটির সাথে রচনাকাল বা
স্থান হিসেবে উল্লেখ আছে- '২১ চৈত্র ১৩২২, শান্তিনিকেতন'। এই
সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
৫৪ বৎসর ১১ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)।
দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)।
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত-১৪) পর্যায়ের ২০১ সংখ্যক গান।
গীতিচর্চ্চা (পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। ঋতুচক্র ৭৯। পৃষ্ঠা: ১৭৬-১৭৭। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
স্বরবিতান ষোড়শ (১৬, গীতপঞ্চাশিকা। আশ্বিন ১৪১৩) খণ্ডের ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮৪-৮৮।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ষোড়শ (১৬,
গীতপঞ্চাশিকা)
খণ্ডে
(আশ্বিন
১৪১৬)
গৃহীত
স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৩।৩ ছন্দে
দাদরা তালে নিবদ্ধ।
[স্বরলিপি]
রাগ : খাম্বাজ। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩২]
রাগ: খাম্বাজ। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬১]
গ্রহস্বর: গা।
লয়: মধ্য।