বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
বকুলগন্ধে বন্যা
এল দখিন-হাওয়ার স্রোতে
পাঠ ও পাঠভেদ:
বকুলগন্ধে বন্যা
এল দখিন-হাওয়ার স্রোতে।
পুষ্পধনু, ভাসাও
তরী নন্দনতীর হতে॥
পলাশকলি দিকে দিকে তোমার আখর দিল লিখে,
চঞ্চলতা জাগিয়ে দিল অরণ্যে পর্বতে॥
আকাশ-পারে পেতে আছে একলা আসনখানি―
নিত্যকালের সেই বিরহীর জাগল আশার বাণী॥
পাতায় পাতায় ঘাসে ঘাসে নবীন প্রাণের পত্র আসে,
পলাশ-জবায় কনক-চাঁপায় অশোকে অশ্বথে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: নমুনা:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র-ভবন আর্কাইভ-এ রক্ষিত ১১ সংখ্যক পাণ্ডুলিপিতে
(গীতবিতান, প্রহাসিনী, স্ফুলিঙ্গ) এই গানটি রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরে পাওয়া যায়। এই
পাণ্ডুলিপির এটি অষ্টম গান। পাণ্ডুলিপিতে গানটির স্থান ও সময়ের উল্লেখ নেই।
পাণ্ডুলিপিতে এর আগের গান 'কোন্ পুরাতন প্রাণের
টানে'। এই গানটির রচনাকাল লেখা
আছে ১৩ই শ্রাবণ ১৩৬৬। এরপর এই গানটিসহ মোট ৭টি গানের সাথে কোনো তারিখের উল্লেখ নেই।
পনের পাতায় একটি গানের খসড়া আছে।
এর প্রথম পংক্তি 'প্রতীক্ষা মোর আঁধার ঘরে একলা আছে'। এর স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ
আছে 'কলিকাতা, আশ্বিন ১৩৩৬'। পাণ্ডুলিপির এই ক্রমবিন্যাস অনুসারে অনুমান করা যায়,
এই গানটি রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন ১৩ শ্রাবণ থেকে আশ্বিন মাসের কোনো একদিনে। এই
সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬৮ বৎসর ৪-৫ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'তপতী' নাটক থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা ৭৬৩] [নমুনা]
গীতবিতানের প্রকৃতি (বসন্ত-৫১) পর্যায়ের ২৩৮ সংখ্যক গান।
প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী। ভাদ্র ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ। দ্বিতীয় দৃশ্য। বিপাশার গান। পৃষ্ঠা: ১০৫-১০৬] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৫৫।
স্বরবিতান সপ্তপঞ্চাশত্তম (৫৭) খণ্ডের (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) পঞ্চম গান। পৃষ্ঠা : ১৫-১৮। [নমুনা]
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরবিতান দ্বিতীয় খণ্ড (মাঘ ১৪১২ বঙ্গাব্দ)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ৫৭ (তপতী) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১২ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।গানটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ : বসন্ত-বাহার। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৭