তপস্বিনী হে ধরণী, ওই-যে তাপের বেলা আসে-
তপের আসনখানি প্রসারিল মৌন নীলাকাশে॥
অন্তরে প্রাণের লীলা হোক তব অন্তঃশীলা,
যৌবনের পরিসর শীর্ণ হোক হোমাগ্নিনিশ্বাসে॥
যে তব বিচিত্র তান উচ্ছ্বসি উঠিত বহু গীতে
এক হয়ে মিশে যাক মৌনমন্ত্রে ধ্যানের শান্তিতে।
সংযমে বাঁধুক লতা কুসুমিত চঞ্চলতা,
সাজুক লাবণ্যলক্ষ্মী দৈন্যের ধুসর ধুলিবাসে॥
প্রবাসী (শ্রাবণ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)।
শান্তিনিকেতন পত্রিকা, নববর্ষ, বৈশাখ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ।
সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা, স্বরলিপি: রমা মজুমদার (জৈষ্ঠ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ)।