বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
ফাগুন, হাওয়ায়
হাওয়ায় করেছি যে দান
পাঠ ও পাঠভেদ:
ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান—
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান
আমার আপনহারা প্রাণ আমার বাঁধন-ছেড়া প্রাণ॥
তোমার অশোকে কিংশুকে
অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে,
তোমার ঝাউয়ের দোলে
মর্মরিয়া ওঠে আমার দুঃখরাতের গান॥
পূর্ণিমাসন্ধ্যায় তোমার রজনীগন্ধায়
রূপসাগরের পারের পানে উদাসী মন ধায়।
তোমার প্রজাপতির পাখা
আমার আকাশ-চাওয়া মুন্ধ চোখের রঙিন-স্বপন-মাখা।
তোমার চাঁদের আলোয়
মিলায় আমার দুঃখসুখের সকল অবসান॥
পাণ্ডুলিপি:
পাঠভেদ:
পাঠভেদ আছে।
ফাগুন, হাওয়ায়
হাওয়ায় করেছি যে দান—
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান
: স্বরলিপি,
স্বরবিতান ৫ (জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৯)
ফাগুন, তোমার হাওয়ায় হাওয়ায়
করেছি যে দান
: গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৪৯)
কথার অংশ, স্বরবিতান ৫ (জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৯)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩২৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাস থেকে তিনি গীতিবীথিকার জন্য গান লেখা শুরু করেন। ২৪ অগ্রহায়ণ-এ রাণু-কে লিখিত চিঠি থেকে জানা যায়- 'এ দিকে রোজ আমার একটা করে নতুন গান বেড়েই চলেছে। ...প্রায় পনেরোটা গান শেষ হয়ে গেল। [ভানুসিংহের পত্রাবলী ২৯ পত্র]। এই সময়ের ১৫টি গানের ভিতরে এই গানটিও ছিল। এই বিচারে গানটি রবীন্দ্রনাথ ৫৭ বৎসর ৭-মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। সুন্দর। গান ১০। পৃষ্ঠা: ১৩৪][নমুনা]
গীতবিতান-এর প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত ৫৪) পর্যায়ের ২৪১ সংখ্যক গান।
নবীন (প্রথম প্রকাশ : চৈত্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)।
বনবাণী গ্রন্থে পুনরায় প্রকাশ : আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। নবীন : প্রথম পর্ব, পঞ্চম গান। রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আষাঢ় ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা ৬৭।
স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৪) ১৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪২-৪৪।
পত্রিকা:
সঙ্গীতবিজ্ঞান (ফাল্গুন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার
সুর ও তাল:
স্বরবিতান
পঞ্চম
(৫)
খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৪) গৃহীত
স্বরলিপিতে রাগ-তালের
উল্লেখ নেই। উক্ত
স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা
ছন্দে 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
[স্বরলিপি]
অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা/খেমটা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৬
বাউলাঙ্গ।
গ্রহস্বর : না্
দ্রুত : লয়