বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ওরা
অকারণে চঞ্চল।
পাঠ ও পাঠভেদ:
ওরা অকারণে চঞ্চল।
ডালে ডালে দোলে বায়ুহিল্লোলে নব পল্লবদল॥
ছড়ায়ে ছড়ায়ে ঝিকিমিকি আলো
দিকে দিকে ওরা কী খেলা খেলালো,
মর্মরতানে প্রাণে ওরা আনে কৈশোরকোলাহল॥
ওরা কান পেতে শোনে গগনে গগনে
নীরবের কানাকানি,
নীলিমার কোন্ বাণী।
ওরা প্রাণঝরনার উচ্ছল ধার, ঝরিয়া বহে অনিবার,
চির তাপসিনী ধরণীর ওরা শ্যামশিখা হোমানল॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
শ্রাবণ গাঁথায় গানটি গৃহীত হওয়ার সময়, রবীন্দ্রনাথ গানটির বাণীতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন। নিচে শ্রাবণগাথার পাঠটি দেওয়া হলো।
ওরা অকারণে চঞ্চল;
ডালে ডালে দোলে
বায়ু হিল্লোলে
নব পল্লবদল।
বাতাসে বাতাসে
প্রাণভরা বাণী
শুনিতে পেয়েছে কখন
কী জানি,
মর্মরতানে দিকে
দিকে আনে কৈশোর-কোলাহল।
ওরা কান পেতে শোনে
গগনে গগনে মেঘে মেঘে কানাকানি,
বনে বনে জানাজানি।
ওরা প্রাণ-ঝরণার
উচ্ছল ধার
ঝরিয়া ঝরিয়া বহে
অনিবার,
চিরতাপসিনী ধরণীর
ওরা শ্যামশিখা হোমানল॥
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে নবীন নাটকটি রচনার সময়ে এ গানটি রচিত হয়েছিল। এই বিচারে বলা যায়- গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৯ বৎসর ১০ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গীতবিতান-এর প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত ৫৭) পর্যায়ের ২৪৪ সংখ্যক গান।
নবীন
(প্রথম প্রকাশ : চৈত্র ১৩৩৭
বঙ্গাব্দ)।
বনবাণী
গ্রন্থে
পুনরায় প্রকাশ :
আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)।
নবীন: প্রথম পর্ব,
দ্বাদশ গান।
রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী,
আষাঢ় ১৩৯৩)।
পৃষ্ঠা: ৭৩।
শ্রাবণগাথা (শ্রাবণ ১৩৪১ বঙ্গাব্দ)। নটরাজের গান। [রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আষাঢ় ১৩৯৫)। পৃষ্ঠা: ১২১।
স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৪) ২৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫৬-৫৭।
পত্রিকা:
সংগীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা (পৌষ ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)। অনাদিকুমার দস্তিদার-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৭৭।