বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
পুব-হাওয়াতে দেয় দোলা
পাঠ ও পাঠভেদ:
পুব-হাওয়াতে দেয় দোলা আজ মরি মরি।
হৃদয়নদীর কূলে কূলে জাগে লহরী॥
পথ চেয়ে তাই একলা ঘাটে বিনা কাজে সময় কাটে,
পাল তুলে ওই আসে তোমার সুরেরই তরী॥
ব্যথা আমার কূল মানে না, বাধা মানে না।
পরান আমার ঘুম জানে না, জাগা জানে না।
মিলবে যে আজ অকূল-পানে তোমার গানে আমার গানে,
ভেসে যাবে রসের বানে আজ বিভাবরী॥
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
গানটি রচনার কোনো সুনির্দিষ্ট সময় পাওয়া যায় না।
১৯২৩
খ্রিষ্টাব্দের ২৬ এপ্রিল (বৈশাখ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথ শিলঙ যাত্রা করেন। দুই মাস শিলঙে কাটিয়ে
তিনি জুন মাসের মাঝামঝি সময়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। জুলাই মাসের শুরুতে তিনি
শান্তিনিকেতন আসেন। শান্তিনিকেতন থেকে তিনি কলকাতায় আসেন আগষ্ট মাসের শেষের
দিকে। শান্তিনিকেতনে থাকাকালে তিনি এই গানটি-সহ মোট ১০টি গান রচনা করেন। এর
ভিতরে তিনটি গানের তারিখ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় অবশিষ্ট গান রচনা
করেছিলেন ২৪ আষাঢ় থেকে ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ২৬ শে আষাঢ়ের ভিতরে শান্তিনিকেতনে
রচিত হয়েছিল।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৬২ বৎসর
৩ মাস ।
[রবীন্দ্রনাথের ৬২ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। শেষ বর্ষণ। নটরাজের গান। পৃষ্ঠা ১২] [নমুনা]
গীতবিতানের প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-৫৭) পর্যায়ের ৮২ সংখ্যক গান।
গীতমালিকা প্রথম খণ্ড (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)। অনাদিকুমার দস্তিদার-কৃত স্বরলিপিসহ-সহ মুদ্রিত।
শেষ বর্ষণ (৩০ ভাদ্র ১৩৩২ বঙ্গাব্দ) অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত পুস্তিকায় মুদ্রিত গান।
স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা প্রথম খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) ২৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৯২-৯৩।
পত্রিকা:
প্রবাসী (ভাদ্র ১৩৩০ বঙ্গাব্দ)।
শান্তিনিকেতন পত্রিকা (কার্তিক ১৩৩০ বঙ্গাব্দ)। অনাদিকুমার দস্তিদার-কৃত স্বরলিপিসহ-সহ মুদ্রিত।
সবুজপত্র (কার্তিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
পরিবেশনা: ৩ রা শ্রাবণ ১৩৩২ বঙ্গাব্দে শান্তিনিকেতনে 'বর্ষামঙ্গল' উৎসবে গীত।
স্বরলিপিকার: স্বরবিতান ৩০ খণ্ডটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে। এতে গানটির স্বরলিপিকার ছিলেন অনাদিকুমার দস্তিদার। গানটির তৃতীয় সংস্করণ হয় জ্যৈষ্ঠ ১৩৬০ বঙ্গাব্দে; এতে গানটির অন্তরায় একটি সুরান্তর দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য এই সংস্করণটির সম্পাদনা করেছিলেন অনাদিকুমার দস্তিদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা প্রথম খণ্ড) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) গৃহীত মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দের তালে নিবদ্ধ।
রাগ: কাফি-কানাড়া। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৪]
রাগ: গৌড় মল্লার (জ্ঞ), মূলতান। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১২ ]
গ্রহস্বর: পা।
লয়: মধ্য।