শ্রাবণ, তুমি বাতাসে কার আভাস পেলে-
পথে তারি সকল বারি দিলে ঢেলে।
কেয়া কাঁদে, ‘যায় যায় যায়।’
কদম ঝরে, ‘হায় হায় হায়।’
পুব-হাওয়া কয়, ‘ওর তো সময় নাই বাকি আর।’
শরৎ বলে, ‘যাক-না সময়, ভয় কিবা তার-
কাটবে বেলা আকাশ-মাঝে বিনা কাজে
অসময়ের খেলা খেলে।’
কালো মেঘের আর কি আছে দিন,
ও যে হল সাথিহীন।
পুব-হাওয়া কয়, ‘কালোর এবার যাওয়াই ভালো।’
শরৎ বলে, মিলিয়ে দেব কালোয় আলো-
সাজবে বাদল আকাশ-মাঝে সোনার সাজে
কালিমা ওর মুছে ফেলে।’
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: রচনার সঠিক সময় পাওয়া যায় না। ধারণ করা হয়- গানটি 'নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা'-কে 'ঋতুরঙ্গ'-এ পরিণত করার সময় রবীন্দ্রনাথের এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই বিচারে বলা যায়- গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৬ বৎসর বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
বসুমতী (পৌষ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)। শ্রাবণ-বিদায়। গান। ঋতুরঙ্গ -এর সাথে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
ঋতুরঙ্গ (অগ্রহায়ণ, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
নটরাজ
(১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। শ্রাবণ-বিদায়। গান।
রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২১৪।
স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম (৫০, শেফালি) খণ্ডের (বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩), গান সংখ্যা: ৪, পৃষ্ঠা ১৯-২১।
পত্রিকা:
সঙ্গীত-প্রকাশিকা (কার্তিক ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৬৬ বৎসর ৮ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়।
নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা
রচিত হয় ১৯৩৩ বঙ্গাব্দে। এই গ্রন্থটি
বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত
হয়- আষাঢ় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়। এই সময় এই গানটিও 'নটরাজ
ঋতুরঙ্গশালা'র সাথে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর
'নটরাজ
ঋতুরঙ্গশালা'-কে রবীন্দ্রনাথ কিছু পরিবর্তন করেন। পরিবর্তিত এই
সংস্করণটির নামকরণ করেন- 'ঋতুরঙ্গ'। 'বসুমতী' পত্রিকার পৌষ ১৩৩৪
বঙ্গাব্দ সংখ্যায় 'ঋতুরঙ্গ' প্রকাশিত হয়। বিচিত্রায় প্রকাশিত নটরাজে এই
গানটি ছিল না। কিন্তু ঋতুরঙ্গে গানটি ছিল। বর্তমানে
রবীন্দ্ররচনাবলী
১৮তম (অষ্টাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
পৃষ্ঠা ২১৪।)
খণ্ডে এই গানটি 'নটরাজ'-এর সাথে পাওয়া যায়।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
বর্তমানে রবীন্দ্ররচনাবলী ১৮তম (অষ্টাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২১৪।) খণ্ডে এই গানটি 'নটরাজ'-এর সাথে পাওয়া যায়। তবে এর শেষ স্তবকটিতে সুরারোপ করা হয় নাই।
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান দ্বিতীয় (২) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
রাগ : বিভাস-বাউল। তাল : কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৭৯।
রাগ: বিভাস (বাংলা)। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৭।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।