বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত। শিরোনাম:
দুখের কথা তোমায় বলিব না, দুখ ভুলেছি ও করপরশে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা
প্রার্থনা:
৩৫
দুখের কথা তোমায়
বলিব না, দুখ ভুলেছি ও করপরশে।
যা-কিছু দিয়েছ তাই পেয়ে, নাথ, সুখে আছি, আছি হরষে॥
আনন্দ-আলয় এ মধুর ভব, হেথা আমি আছি এ কী স্নেহ তব–
তোমার চন্দ্রমা তোমার তপন মধুর কিরণ বরষে॥
কত নব হাসি ফুটে ফুলবনে প্রতিদিন নবপ্রভাতে।
প্রতিনিশি কত গ্রহ কত তারা তোমার নীরব সভাতে।
জননীর স্নেহ সুহৃদের প্রীতি শত ধারে সুধা ঢালে নিতি নিতি,
জগতের প্রেমমধুরমাধুরী ডুবায় অমৃতসরসে॥
ক্ষুদ্র মোরা তবু না জানি মরণ, দিয়েছ তোমার অভয় শরণ,
শোক তাপ সব হয় হে হরণ তোমার চরণদরশে।
প্রতিদিন যেন বাড়ে ভালোবাসা, প্রতিদিন মিটে প্রাণের পিপাসা–
পাই নব প্রাণ– জাগে নব আশা নব নব নব-বরষে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল জানা যায় নাই। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর রবিজীবনী দ্বিতীয় খণ্ডে এই গানটি তিনটি গানকে - আদি ব্রাহ্মসমাজের নববর্ষ উৎসবের (১২৯১ বঙ্গাব্দ) জন্য রচিত বলে উল্লেখ করেছেন। এই গান তিনটি হলো-
১. দীর্ঘ জীবনপথ, ভকত দুঃখতাপ [পূজা-২৫০]
[তথ্য]
২.
দুখের কথা তোমায় বলিব না
৩. গাও বীণা-বীণা, গাও রে [পূজা-৪৫৮] [তথ্য]
এই সূত্রে ধারণা করা হয়, গানটি
রবীন্দ্রনাথের ২৩ বৎসর বয়সের রচনা।
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮। কাব্য-গ্রন্থাবলী (১৩০৩
বঙ্গাব্দ)-এর ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৫৬-১৫৭]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা ও প্রার্থনা
৩৫।