বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার যে সব দিতে হবে সে তো আমি জানি
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার যে সব দিতে হবে সে তো আমি জানি-
আমার যত বিত্ত প্রভু, আমার যত বাণী ॥
আমার চোখের চেয়ে দেখা, আমার কানের শোনা,
আমার হাতের নিপুণ সেবা, আমার আনাগোনা-
সব দিতে হবে ॥
আমার প্রভাত, আমার সন্ধ্যা হৃদয়পত্রপুটে
গোপন থেকে তোমার পানে উঠবে ফুটে ফুটে।
এখন সে যে আমার বীণা, হতেছে তার বাঁধা,
বাজবে যখন তোমার হবে তোমার সুরে সাধা-
সব দিতে হবে ॥
তোমারি আনন্দ আমার দুঃখে সুখে ভ'রে
আমার ক'রে নিয়ে তবে নাও যে তোমার ক'রে।
আমার ব'লে যা পেয়েছি শুভক্ষণে যবে
তোমার ক'রে দেব তখন তারা আমার হবে-
সব দিতে হবে ॥
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229 পাণ্ডুলিপিতে
গানটির সাথে উল্লেখ আছে, '৭ই
বৈশাখ/শান্তিনিকেতন'।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর
৫২ বৎসর ১১ মাস অতিক্রান্ত বয়সে গানটি রচনা করেছিলেন। উল্লেখ্য,
১৩২১ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ছিলেন। বৈশাখ মাসের ৭ তারিখে
তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন।
[৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
গ্রন্থ:
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)।
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)।
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পূজা (উপ-বিভাগ : বিবিধ-১০৭) পর্যায়ের ৪৮২ সংখ্যক গান।
গীতলেখা দ্বিতীয় ভাগ (১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতিচর্চ্চা (বিশ্বভারতী, ১৩৩২)
গীতিমাল্য
ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ১৩২১
বিশ্বভারতী ১৩২৪ বঙ্গাব্দ
১০১ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২০৫-০৬।
সঞ্চয়িতা (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)
স্বরবিতান চত্বারিংশ (৪০) খণ্ডের চতুর্থ গান। পৃষ্ঠা ১৪-১৭।
রাগ: দেশ। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৫৮।]