৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ বৈশাখ ১৩২০ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯১৩- ৬ মে ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ)
গত বৎসরে [১৩১৯ বঙ্গাব্দের ১৪ জ্যৈষ্ঠ [২৭ মে ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ], রবীন্দ্রনাথ বোম্বাই থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই বৎসরে তিনি ইউরোপের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান। এই বৎসরে আগষ্ট লণ্ডনে তিনি ৬টি গান রচনা করেন। গানগুলো হলো-
16, More's Garden Cheyne Walk, London ৮ ভাদ্র [রবিবার, ২৪ আগষ্ট]
- তোমারি নাম বলব নানা ছলে [পূজা ১০৫] [তথ্য]
- অসীম ধন তো আছে তোমার [ পূজা-৭৯] [তথ্য]
এ মণিহার আমায় নাহি সাজে
Cheyne Walk, London ৯ ভাদ্র [সোমবার, ২৫ আগষ্ট]
২৬ ভাদ্র [১১ সেপ্টেম্বর] রবীন্দ্রনাথ ইংল্যান্ড থেকে ভারতবর্ষের উদ্দেশ্যে রওনা
দেন। জাহাজে তিনি ৩টি গান রচনা করেন। গানগুলো হলো
S.S. City of Lahore।
মধ্যধরণী সাগর। ২৯ ভাদ্র [সোমবার,
১৪ সেপ্টেম্বর]
বাজাও আমারে বাজাও
[তথ্য]
S.S. City of Lahore।
মধ্যধরণী সাগর। ২ আশ্বিন
[বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর]
জানি গো দিন যাবে।
S.S. City of Lahore।
মধ্যধরণী সাগর। ৩ আশ্বিন [শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর]
নয় নয় মধুর খেলা।
১১ আশ্বিন [শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর] রবীন্দ্রনাথ
বোম্বাইতে পৌঁছান। ১৩ আশ্বিন [সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর] তিনি রেলপথে কলকাতা পৌঁছান।
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ১৪ আশ্বিন গিয়ে ১৬ আশ্বিনে আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। ২৫
আশ্বিন [১১ অক্টোবর] শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। এবারের শান্তিনিকেতনে থাকার সময় যে
তিনি গানগুলো রচনা
করেন, সেগুলো হলো—
২৮ আশ্বিন [মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর]। যদি
প্রেম দিলে না প্রাণে
২৯ আশ্বিন [বুধবার ১৫ অক্টোবর]। নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে [পূজা-৩৫৯]
[তথ্য]
১ কার্তিক [শনিবার ১৮ অক্টোবর]।
আমার যে আসে কাছে, যে যায় চলে দূরে [পূজা-২৪৬] [তথ্য]
২ কার্তিক [রবিবার ১৯ অক্টোবর]।
আমার মুখের কথা
[তথ্য]
৫
কার্তিক [বুধবার ২২ অক্টোবর]। তুই কেবল থাকিস সরে।
১৩ কার্তিকে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় এসে ৩১ কার্তিক আবার কলকাতায় ফিরে যান। ১৪ নভেম্বর সুইডিশ একাডেমী রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারের বিষয়টি তার বার্তায় জানানো হয়। এই তার বার্তাটি পান রবীন্দ্রনাথের জামাতা নগেন্দ্রনাথ। ১৬ নভেম্বর নগেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে বিষয়টি জানান। নোবেল পুরস্কারের পর নানা দিকে পাওয়া অভিন্দন, মন্তব্য ইত্যাদি নিয়ে রবীন্দ্রনাথ একটি অস্থির পরিবেশের মধ্যে পড়ে যান। ফলে রবীন্দ্রনাথের গানের ধারায় যতি পড়ে। ১৪-১৫ অগ্রহায়ণের ভিতর তিনি তিনটি গান রচনা করেন। এরপর তাঁর কাছ থেকে গান পাওয়া যায় ৭ পৌষ-এ। ১৪-১৫ অগ্রহায়ণের ভিতর রচিত তিনটি গান হলো—
অগ্রহায়ণ মাসে শান্তিনিকেতন তিনি ৩টি গান রচনা করেন। এই গানগুলো হলো —
৪ অগ্রহায়ণ [রবিবার ৩০ নভেম্বর]। তোমার প্রেমে ধন্য কর যারে [পূজা-৮৯] [তথ্য]
১৫ অগ্রহায়ণ [সোমবার ১ ডিসেম্বর]। আমার কণ্ঠ তারে ডাকে [পূজা-১৫৫] [তথ্য]
১৫অগ্রহায়ণ [সোমবার ১ ডিসেম্বর]। আমার সকল কাঁটা ধন্য করে [পূজা-২৯৩] [তথ্য]
১৭ অগ্রহায়ণ রবীন্দ্রনাথ কলকাতা আসেন। এরপর তিনি শিলাইদহে চলে যান। ২৭ অগ্রহায়ণ সুপ্রভা দেবীর সাথে সুকুমার রায়ের বিবাহ উপলক্ষে তিনি কলকাতা চলে আসেন। ৫ পৌষ-এ তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। ৭ পৌষ শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উৎসব উদ্বোধন করেন। এই দিন তিনি একটি গান রচনা করেন। ধারণা করা হয় এই উৎসব উপলক্ষে তিনি গানটি রচনা করেছিলেন। গানটি হলো—
৭ পৌষ [সোমবার ২২ ডিসেম্বর] গাব তোমার সুরে দাও সে বীণাযন্ত্র [পূজা ৯৭] [তথ্য]
৯ পৌষ [বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর] রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় আসেন। এই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হয়। ১৪ পৌষ রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। এরপর ১৭ পৌষ তিনি আবার কলকাতায় ফিরে যান। এই তিন দিনের ভিতরে তিনি ২টি গান রচনা করেন। গান দুটি হলো —
১৪ পৌষ [সোমবার ২৯ ডিসেম্বর] প্রভু, তোমার বীণা যেমনি বাজে [পূজা-৩৫] [তথ্য]
১৫ পৌষ [মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর] তোমায় আমায় মিলন হবে ব'লে [পূজা-৩৪] [তথ্য]
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার মাঘ সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথের একটি প্রকাশিত হয়। এই গানটি অমৃতসরের মন্দিরে প্রাপ্ত আরতি গানের প্রথমাংশ। এই গানটি পরে প্রবাসী পত্রিকার চৈত্র, ১৩২০ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। উভয় পাঠের ভিতরে কিছু পার্থক্য আছে। এই গানটি হলো—
এ হরি সুন্দর, এ হরি সুন্দর [তত্ত্ববোধিনী মাঘ, ১৩২০]
১৭ পৌষ [বৃহস্পতিবার ১ জানুয়ারি] তিনি আবার কলকাতায় হয়ে পতিসরের
উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সম্ভবত পহেলা মাঘে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন।
কিন্তু অজ্ঞাত কারণে, রবীন্দ্রনাথ মাঘোৎসবের আগেই ৯ই মাঘ শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন।
উল্লেখ্য
১১ মাঘ ১৩১৯ বঙ্গাব্দ [শনিবার ২৪
জানুয়ারি ১৯১৪
খ্রিষ্টাব্দ]-এ ৮৪তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঘোৎসব উপলক্ষে
রবীন্দ্রনাথের ১৬টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে কোনো নতুন গান ছিল না।
তুমি একলা ঘরে ব'সে ব'সে কী সুর বাজালে। [পাণ্ডুলিপি] [তথ্য]
এবারে শান্তিনিকেতনে থাকাকালে
রবীন্দ্রনাথ বেশকিছু গান রচনা করেন। এই গানগুলো
পাওয়া যায় পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 111
তে।
পাণ্ডুলিপির এই খাতাটির গ্রন্থাগারের নাম হলো
MS. NO 111।
এরপর রবীন্দ্রনাথ লণ্ডনের
John Walker & Co. LTd.
-এর তৈরি একটি খাতা ব্যবহার করা শুরু করেন। খাতাটির নাম-
The Pall Mall Note Book
No.3। এই খাতার
প্রথম পাতায় তিনি লেখেন
'আমার একটি কথা বাঁশি জানে' গানটি। এর পরের গান 'আমার নিশীথ রাতের
বাদল ধারা'। রচনা করেছিলেন আশ্বিন মাসে।
"শ্রীপঞ্চমীর দিন [৩ ফাল্গুন শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি] ছেলেরা দল বাঁধিয়া
সুরুলে বনভোজন করিতে চলিল। রবীন্দ্রনাথও বিকালে সেখানে যাইবেন শুনিয়া আমরা
মেয়ের দলও উৎসাহ করিয়া চলিলাম।... তাহার পর কবি যেখানে বসিয়া ছিলেন সেইখানে
গিয়া উপস্থিত হইলাম। তিনি আমাদের আকস্মিক আবির্ভাবে কিঞ্চিৎ বিস্মিত হইয়াছিলেন
বোধ হয়, যাহা হউক, হাসিমুখেই বসিতে বলিলেন। নিজের দুই-একটি কবিতা পড়িয়া
শুনাইলেন, তাহার পর শুরু হইল গানের পালা। পণ্ডিত ভীমরাও শাস্ত্রী কয়েকটি হিন্দী
গান করিলেন, তাহার পর 'ফাল্গুনী' উজাড় করিয়া বসন্তের গান চলিল। 'আজি বিজন ঘরে
নিশীথরাতে আসবে যদি শূন্যহাতে' গানটি কবি সেইদিনই রচনা করিয়াছিলেন বোধ হয়,
সর্বশেষে সেই গানটি তিনি একলা গাহিয়া শুনাইলেন।"
২০ মাঘে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে আসেন। ১৩২০ বঙ্গাব্দের ২৮ মাঘ [১০ ফেব্রুয়ারি]
তারিখে শান্তিনিকেতনে বসে মাঘী পূর্ণিমাতে রচনা করেন একটি গান।
১৩২০ বঙ্গাব্দের ৫ ফাল্গুন [মঙ্গলবার ১৭
ফেব্রুয়ারি] তারিখে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে আসেন। ১০-১১ ফাল্গুন
তারিখে উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- তৎকালীন পাবনা ইনস্টটিউশনে। ১০
ফাল্গুন সকালে শিলাইদহ থেকে নৌকায় পদ্মা পার হয়ে পাবনা যান। সঙ্গে ছিলেন প্রমথ
চৌধুরী ও মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়। পাবনাতে এঁরা আতিথ্য গ্রহণ করেন শীতলাহির জমিদার
যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রের বাড়িতে।
১২ ফাল্গুন
তারিখে রবীন্দ্রনাথ
পাবনা থেকে শিলাইদহে
আসেন এবং ১৫ ফাল্গুনে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই সময়ের ভিতরে শিলাইদহে তিনি
মোট ৫টি গান এবং দুটি কবিতা রচনা করেন।
RBVBMS 229-তে লিখিত এই
গানগুলোর সাথে রচনাকাল ও স্থানের নাম পাওয়া যায়।
বেশ
কিছু গান পাওয়া যায়, যার রচনাকাল
বা স্থানের উল্লেখ নেই। এই পাণ্ডুলিপির ১২৭ পৃষ্ঠায়
'The Lamp is trimmed'
কবিতাটির সাথে তারিখ উল্লেখ আছে '৩১ জানুয়ারি [১৮ মাঘ]'। এই
বিচারে ধারণা করা যায় গানটি ১৮ই মাঘের পরে রচিত।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫৬ বৎসর ৯-১০ মাস।
আবার এই পাণ্ডুলিপির
৮৪ পৃষ্ঠায় পাওয়া যায়, 'আজি
বিজন ঘরে নিশীথরাতে আসবে যদি শূন্যহাতে' গানটি। পাণ্ডুলিপি অনুসারে ধারণা
করা যায়, আলোচ্য গানটি 'আজি
বিজন ঘরে...' আগে রচিত। সীতাদেবী তাঁর পূণ্যস্মৃতি গ্রন্থে
(বিশ্বভারতী, অগ্রহায়ণ ১৪২২, পৃষ্ঠা ১২৭) এই গানটি সম্পর্কে লিখেছেন—
২৮ মাঘ [মঙ্গলবার ১০
ফেব্রুয়ারি]
বসন্তে আজ ধরার চিত্ত
১২ ফাল্গুন [মঙ্গলবার ২৪ ফেব্রুয়ারি]। সভায় তোমার থাকি সবার শাসন [পূজা-৮৮] [তথ্য]
১২ ফাল্গুন [মঙ্গলবার ২৪ ফেব্রুয়ারি]। যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা [প্রেম-৪৬] [তথ্য]
১৪ ফাল্গুন [বৃহস্পতিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি]। বেসুর বাজে রে [পূজা-১৫৪] [তথ্য]
১৪ ফাল্গুন [বৃহস্পতিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি]। তুমি জানো, ওগো অন্তর্যামী [পূজা-২৪৪] [তথ্য]
১৫ ফাল্গুন [শুক্রবার ২৭ ফেব্রুয়ারি]। রাজপুরীতে বাজায় বাঁশি বেলাশেষের তান [পূজা-২০] [তথ্য]১৫ ফাল্গুন শিলাইদহ থেকে পাল্কীযোগে কুষ্টিয়া শহরের দিকে রওনা দেন। এই পাল্কিতে বসে তিনি একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো-
আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় [পূজা-৫৭৩] [তথ্য]
১৩২০ বঙ্গাব্দের ১৬ ফাল্গুন তারিখের ভোর বেলায় রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় পৌঁছান। এই দিনে
তিনি একটি গান রচনা করেন।
উল্লেখ্য বীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই
গানের নিচে স্থান ও তারিখের উল্লেখ আছে 'কলিকাতা/১৬ ফাল্গুন/১৩২০'।
গানটি হলো-
১৬ ফাল্গুন [শনিবার ২৮ ফেব্রুয়ারি]
আমার ব্যথা যখন আনে আমার [পূজা-১৬৪]
[তথ্য]
১৩২০ বঙ্গাব্দের ১৭ ফাল্গুন তারিখে, রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শান্তিনিকতনে আসেন। ১৮ ফাল্গুন থেকে ২৯ ফাল্গুন পর্যন্ত সাতটি গান রচনা করেন। উল্লিখিত গানগুলো হলো-
১৮ ফাল্গুন [সোমবার ২ মার্চ] কার হাতে এই মালা তোমার পাঠালে [পূজা-৪৩] [তথ্য]
২০ ফাল্গুন [বুধবার ৪ মার্চ] এত আলো জ্বালিয়েছ এই গগনে [পূজা-৪২] [তথ্য]
২৩ ফাল্গুন [শনিবার ৭ মার্চ] যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে [পূজা-২২০] [তথ্য]
২৫ ফাল্গুন [সোমবার ৯ মার্চ] শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে [পূজা-৯৮] [তথ্য]
২৬ ফাল্গুন [মঙ্গলবার ১০ মার্চ] তোমার কাছে শান্তি চাব না [পূজা-২১৯] [তথ্য]
২৮ ফাল্গুন [বুধবার ১২ মার্চ] দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে [পূজা-১৯] [তথ্য]
২৯ ফাল্গুন [বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ] আমায় ভুলতে দিতে নাইকো তোমার ভয় [পূজা-২৯২] [তথ্য]
পাবনা-ভ্রমণ এবং নানাবিধ বিতর্কের ফলে
রবীন্দ্রনাথ মানসিকভাবে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এরই ভিতরে তাঁর গান লিখা অব্যাহত ছিল। ১ চৈত্র থেকে ২৪
চৈত্র পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে মোট ১৯টি গান রচনা করেন। নিচে গানগুলোর তালিকা দেওয়া হলো।
১৩২০ বঙ্গাব্দের ২৫ চৈত্র তারিখে তিনি শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রেলপথে রওনা দেন।
পথে রেল গাড়িতে একটি গান রচনা করেন। এই সময়ের রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১২ মাস।
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপিতে নিম্নোক্ত গানটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে, '২৫ চৈত্র কলিকাতার পথে রেলগাড়িতে'।
১ চৈত্র [রবিবার ১৫ মার্চ] জানি
নাই গো সাধন তোমার বলে কারে [পূজা-২৯১]
[তথ্য]
২ চৈত্র [সোমবার ১৬ মার্চ]।ওদের কথায় ধাঁদা লাগে [পূজা-২৯০]
[তথ্য]
৩ চৈত্র [সোমবার ১৭ মার্চ]। এইআসা-যাওয়ার খেয়ার কূলে আমার বাড়ি [পূজা-৫৬২]
[তথ্য]
৫ চৈত্র [বৃহস্পতিবার ১৯ মার্চ]। জীবন আমার চলছে যেমন [বিচিত্র-৪৩]
[তথ্য
৬ চৈত্র [শুক্রবার ২০ মার্চ]। হাওয়া লাগে গানের পালে [পূজা-৫৬০]
[তথ্য]
৭ চৈত্র [শনিবার ২১ মার্চ]। আমারে দিই তোমার হাতে [পূজা-৫২৪]
[তথ্য]
৮ চৈত্র [শনিবার ২১ মার্চ]। আরো চাই যে, আরো চাই গো [পূজা-৩৮৪]
[তথ্য]
৯ চৈত্র [সোমবার ২৩ মার্চ]।আমার বাণী আমার প্রাণে লাগে [পূজা-৭৮]
[তথ্য]
১৩ চৈত্র [শুক্রবার ২৭ মার্চ]। তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভ'রে। [পূজা-৭৭]
[তথ্য]
১৪ চৈত্র [শনিবার ২৮ মার্চ]। তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি [পূজা-১৩২]
[তথ্য]
১৫ চৈত্র [রবিবার ২৯ মার্চ]। হে অন্তরের ধন [পূজা-১৩১]
[তথ্য]
১৬ চৈত্র [সোমবার ৩০ মার্চ]।তুমি যে এসেছ মোর ভবনে। [পূজা-৭৬]
[তথ্য]
১৭ চৈত্র মঙ্গলবার ৩১ মার্চ]। আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না। [পূজা-৭৫]
[তথ্য]
২২ চৈত্র [রবিবার ৫ এপ্রিল]।বল তো এইবারের মতো। [পূজা-৪৪]
তথ্য]
২২ চৈত্র [রবিবার ৫ এপ্রিল]। আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে [পূজা-১৪৬]
[তথ্য]
২৩ চৈত্র [সোমবার ৬ এপ্রিল] ওদের সাথে মেলাও যারা চরায় তোমার ধেনু। [পূজা-৫৩]
[তথ্য]
২৪ চৈত্র [মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল]। সকাল-সাঁজে ধায় যে ওরা নানা কাজে [পূজা-১৪৩]
[তথ্য]
২৪ চৈত্র [মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল]। তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে [পূজা-৬]
[তথ্য]
২৪ চৈত্র [মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল]। আমায় বাঁধবে যদি কাজের ডোরে [পূজা-৫২]
[তথ্য]
২৪ চৈত্র [মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল]। কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না। [পূজা-৫১]
[তথ্য]
২৫ চৈত্র [বুধবার ৮ এপ্রিল]। আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে [পূজা-৫০]
[তথ্য]
১৩২০ বঙ্গাব্দের ২৭ চৈত্র বেলা আড়াইটায় বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলনের অধিবেশন অনুষ্ঠিত
হয়েছিল কলকাতার টাউন হলে। এই সভার সভাপতিত্ব করেছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই
অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় আসেন। এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কলকাতায়
রবীন্দ্রনাথ তিনটি গান রচনা করেছিলেন।
এই সময়ের রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২
বৎসর ১২ মাস।
গান তিনটি হলো-
২৬ চৈত্র [বৃহস্পতিবার ৯ এপ্রিল] প্রাণে গান নাই, মিছে তাই ফিরিনু যে [পূজা-২৩৮] [তথ্য]
২৭ চৈত্র [শুক্রবার ১০ এপ্রিল] কেন তোমরা আমায় ডাকো, আমার মন না মানে [পূজা-১৮] [তথ্য]
২৭ চৈত্র [শুক্রবার ১০ এপ্রিল]। সে দিনে আপদ আমার যাবে কেটে। [পূজা-৪৯] [তথ্য]
১৩২১ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ছিলেন। ধারণা করা হয়- এইদিনের সকালে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন- 'মোর প্রভাতের এই প্রথম খনের কুসুমখানি' গানটি। বৈশাখ মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত তিনি মোট ৪টি গান রচনা করেন। এই গানগুলো হলো-
১ বৈশাখ [মঙ্গলবার ১৪ এপ্রিল]। মোর প্রভাতের এই প্রথম খনের কুসুমখানি। [পূজা-৪০] [তথ্য]
৩ বৈশাখ [বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল] তোমার আনন্দ ওই এল দ্বারে [পূজা-৩১৩, আনুষ্ঠানিক ২১] [তথ্য]
৫ বৈশাখ [শনিবার, ১৮ এপ্রিল] তার অন্ত নাই গো যে আনন্দে গড়া [পূজা-৩১২] [তথ্য]
৭ বৈশাখ [সোমবার, ২০ এপ্রিল] আমার যে সব দিতে হবে [পূজা-৪৮২] [তথ্য]
উল্লেখ্য, RBVBMS 229 পাণ্ডুলিপিতে লিখিত এই গানগুলোর সাথে রচনার সন উল্লেখ রয়েছে '১৩১৫'। সম্ভবত পাণ্ডুলিপির তারিখটি ভুলক্রমে '১৯১৫'-এর পরিবর্তে '১৩১৫' হয়ে গিয়েছিল। রচনার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়, ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিমাল্য গ্রন্থে।
১৬ বৈশাখ তারিখে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় আসেন। কিন্তু ২১ তারিখে ইনি পুনরায় শান্তিনিকেতন আসেন এবং ২২ তারিখে কলকাতায় ফিরে যান। এরপর ২৪ বৈশাখ পর্যন্ত তিনি কলকাতাতে অবস্থান করেন। এই সাথে তাঁর ৫৩ বৎসর পূর্ণ হয়।