বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আমার
কণ্ঠ
তারে ডাকে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা ১৫৫।
আমার কণ্ঠ তারে ডাকে,
তখন
হৃদয় কোথায় থাকে
॥
যখন
হৃদয় আসে ফিরে আপন নীরব নীড়ে
আমার জীবন তখন
কোন্ গহনে বেড়ায় কিসের পাকে
॥
যখন
মোহ আমায় ডাকে
তখন
লজ্জা কোথায় থাকে!
যখন
আনেন তমোহারী আলোক-তরবারী
তখন
পরান আমার কোন্ কোণে যে
লজ্জাতে মুখ
ঢাকে
॥
RBVBMS 229]
[
নমুনা]
পাঠভেদ:
পাঠভেদ আছে। স্বরবিতান-৩৯-এর ৮২ পৃষ্ঠা মুদ্রিত পাঠভেদটি নিম্নরূপ।
তখন হৃদয় কোথায় থাকে : গীতলেখা ১ (১৩২৪)
তখন হৃদয় কোথা থাকে
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপি-তে
লিখিত এই গানের নিচে তারিখ ও স্থানেরউল্লেখ আছে,-'১৫
অগ্রহায়ণ/ শান্তিনিকেতন'।
উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দের ১৩ই
কার্তিকে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় আসেন। ২৮শে কার্তিক [১৪ই নভেম্বর,
১৯১৩] সুইডিশ একাডেমী
রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারের বিষয়টি তার বার্তায় জানায়। এই তার বার্তাটি পান
রবীন্দ্রনাথের জামাতা নগেন্দ্রনাথ। ১৬ই নভেম্বর নগেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে বিষয়টি
জানান। নোবেল পুরস্কারের পর নানা জনের কাছ থেকে পাওয়া অভিন্দন, মন্তব্য ইত্যাদি নিয়ে
রবীন্দ্রনাথ একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে পড়ে যান এবং অস্থিরতা নিয়েই তিনি
৩১শে কার্তিক শান্তিনিকেতনে ফিরে যান। এই অবস্থার ভিতরে
তিনি এই গানটি-সহ তিনি তিনটি গান রচনা করেন ১৪-১৫ অগ্রহায়ণের ভিতর।
এর ভিতরে এই গানটি রচনা করেছিলেন ১৫ই অগ্রহায়ণ।এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স
ছিল ৫২ বৎসর ৭ মাস বয়সের রচনা।
[৫২
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
- পত্রিকা:
-
রেকর্ডসূ্ত্র:
পাওয়া যায় নি।
-
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২১ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত গীতিমাল্য -এর প্রথম সংস্করণে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, সেগুলো হলো- কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (১৩২৩ ) ও গীতলেখা প্রথম ভাগ (১৩২৪) । এরপর ১৩২৫ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই গানটি-সহ উক্ত মাঘোৎসবের সকল গান- তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
[১৩২৫
বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবের গানের তালিকা]
এ
সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ -এ গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ২৮ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ১৫৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
[নমুনা]
- স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[স্বরলিপিটি গীতলেখা' প্রথম ভাগ
থেকে স্বরবিতান-৩৯'-এ গৃহীত হয়েছে]
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
- সুর
ও তাল: স্বরবিতান-৩৯-এ গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪।৪।৪ মাত্রাছন্দে 'ত্রিতাল'-এ নিবদ্ধ।
- রাগ: তিলক
কামোদ। অঙ্গ: বাউল।
তাল:
ত্রিতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৯]
-
রাগ: ছায়ানট। অঙ্গ: কীর্তন। তাল:
ত্রিতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৫।]
[ত্রিতালে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: পূজা, বিরহ
- সুরাঙ্গ: বাউলাঙ্গ
- গ্রহস্বর: মা।
- লয়: মধ্য।