বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার
কণ্ঠ
তারে ডাকে
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার কণ্ঠ তারে ডাকে,
তখন হৃদয় কোথায় থাকে ॥
যখন হৃদয় আসে ফিরে আপন নীরব নীড়ে
আমার জীবন তখন কোন্ গহনে বেড়ায় কিসের পাকে ॥
যখন মোহ আমায় ডাকে
তখন লজ্জা কোথায় থাকে!
যখন আনেন তমোহারী আলোক-তরবারী
তখন পরান আমার কোন্ কোণে যে
লজ্জাতে মুখ ঢাকে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ: পাঠভেদ আছে। স্বরবিতান-৩৯-এর ৮২ পৃষ্ঠা মুদ্রিত পাঠভেদটি নিম্নরূপ।
তখন হৃদয় কোথায় থাকে : গীতলেখা ১ (১৩২৪)
তখন হৃদয় কোথা থাকে
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপি-তে
লিখিত এই গানের নিচে তারিখ ও স্থানেরউল্লেখ আছে,-'১৫
অগ্রহায়ণ/ শান্তিনিকেতন'।
উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দের ১৩ই
কার্তিকে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় আসেন। ২৮শে কার্তিক [১৪ই নভেম্বর,
১৯১৩] সুইডিশ একাডেমী
রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারের বিষয়টি তার বার্তায় জানায়। এই তার বার্তাটি পান
রবীন্দ্রনাথের জামাতা নগেন্দ্রনাথ। ১৬ই নভেম্বর নগেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে বিষয়টি
জানান। নোবেল পুরস্কারের পর নানা জনের কাছ থেকে পাওয়া অভিন্দন, মন্তব্য ইত্যাদি নিয়ে
রবীন্দ্রনাথ একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে পড়ে যান এবং অস্থিরতা নিয়েই তিনি
৩১শে কার্তিক শান্তিনিকেতনে ফিরে যান। এই অবস্থার ভিতরে
তিনি এই গানটি-সহ তিনি তিনটি গান রচনা করেন ১৪-১৫ অগ্রহায়ণের ভিতর।
এর ভিতরে এই গানটি রচনা করেছিলেন ১৫ই অগ্রহায়ণ।এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স
ছিল ৫২ বৎসর ৭ মাস বয়সের রচনা।
[৫২
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৪৩২] [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ। পর্যায়: পূজা। উপবিভাগ: বিরহ ২৮। পৃষ্ঠা: ৬৮] [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ১৫৫, উপবিভাগ: বিরহ ২৮]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড, (বিশ্বভারতী)। ৪৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৩৪-৩৫।
স্বরবিতান উনচত্বারিংশ (৩৯) খণ্ডের দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা ৯-১১। [নমুনা]
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ, ১৮৪০ শকাব্দ। পৃষ্ঠা ৩১৯] [নমুনা]
রেকর্ডসূ্ত্র
: পাওয়া যায় নি।প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২১ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত গীতিমাল্য-এর প্রথম সংস্করণে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, সেগুলো হলো- কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (১৩২৩) ও গীতলেখা প্রথম ভাগ (১৩২৪)
। এরপর ১৩২৫ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই গানটি-সহ উক্ত মাঘোৎসবের সকল গান- তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।