গীতবিতান
রবীন্দ্রনাথের সকল গানের বাণী অংশ নিয়ে সঙ্কলিত গ্রন্থ বিশেষ। এই গ্রন্থটি প্রকাশের আগে রবীন্দ্রনাথের গানগুলো তত্ত্ববোধনী, ভারতী'র মতো বিভিন্ন পত্রিকায়, জ্যোতিরিন্দ্রনাথের নাটকে  এবং স্বতন্ত্র কিছু সংকলনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। রবীন্দ্রনাথের গানের সম্পূর্ণ সংগ্রহ প্রচারের উদ্দেশ্যে , গীতবিতান নামক একটি 'সঙ্গীতসঙ্কলন' প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয় এই সূত্রে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে আশ্বিন মাসে, বিশ্বভারতী-গ্রন্থালয় থেকে দু্‌ই খণ্ডে গীতবিতান প্রকাশিত হয়। এরপর গীতবিতানের তৃতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দে।

গীতবিতানের এই খণ্ডে মোট ৩৫৭টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। যে সকল পূর্ব-প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে এই খণ্ডের গানগুলো গ্রহণ করা হয়েছিল, সেগুলো হলো- প্রবাহিণী (১৩৩২), গৃহপ্রবেশ (১৩৩২), সুন্দর (১৩৩২), শেষ বর্ষণ (১৩৩২), শোধবোধ (১৩৩২), চিরকুমার সভা (১৩৩২), নটীর পূজা (১৩৩৩), রক্তকরবী (১৩৩৩), গীতমালিকা প্রথম খণ্ড (১৩৩৪), ঋতুরঙ্গ (১৩৩৪), শেষরক্ষা (১৩৩৫), পরিত্রাণ (১৩৩৬), তপতী (১৩৩৬), গীতমালিকা দ্বিতীয় ভাগ (১৩৩৬), নবীন (১৩৩৭), গীতোৎসব (১৩৩৮)।

এরপরে রয়েছে 'আধুনিক সংগ্রহ'। এই অংশের গানগুলো পূর্বে কোনো গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয় নি। এর পরে রয়েছে বাদ পড়ে যাওয়া ৯টি গান। এই গানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল 'পরিশিষ্ট-(ক)' বিভাগে।

  এমন কিছু গান  কর

কিছু গান মূল সংগ্রহ থেকে বাদ পড়েছিল। এ গানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল পরিশিষ্ট (ক) অংশে। আবার কিছু গান রবীন্দ্র নাথ গীতবিতানে স্থান দেন নি, সেগুলো রাখা হয়েছিল পরিশিষ্ট (ক) ও পরিশিষ্ট (খ) অংশে।

১৩৪৫-৪৬ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের দ্বিতীয় সংস্করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই সংস্করণে প্রচুর ভুল থাকার কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর এই সংস্করণটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে। এই বিচারে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

গীতবিতানে গৃহীত সমুদয় গানের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন। গীতবিতানের প্রতিটি ভাগ 'পর্যায়' নামে অভিহিত করা হয়। এই পর্যায়গুলো হলো-

গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্য

পরিশিষ্ট

এছাড়া গীতবিতানের শেষে গানগুলো সম্পর্কে একটি বিশেষ পাঠ আছে। এই পাঠটি 'গীতবিতান সম্পর্কিত জ্ঞাতব্যপঞ্জি' নামে যুক্ত রয়েছে।