বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
বাজাও
আমারে বাজাও
পাঠ ও পাঠভেদ:
বাজাও আমারে বাজাও
বাজালে যে সুরে প্রভাত-আলোরে সেই সুরে মোরে বাজাও ॥
যে সুর ভরিলে ভাষাভোলা গীতে শিশুর নবীন জীবনবাঁশিতে
জননীর-মুখ-তাকানো হাসিতে— সেই সুরে মোরে বাজাও ॥
সাজাও আমারে সাজাও।
যে সাজে সাজালে ধরার ধূলিরে সেই সাজে মোরে সাজাও।
সন্ধ্যামালতী সাজে যে ছন্দে শুধু আপনারই গোপন গন্ধে,
যে সাজ
নিজেরে ভোলে আনন্দে—
সেই সাজে মোরে সাজাও
॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS 229
-তে লিখিত গানটির নিচে রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে,
'S.S.
City Lahore/১১
সেপ্টেম্বর/মধ্যধরণী
সাগর।
উল্লেখ্য ২৬ ভাদ্র [১১
সেপ্টেম্বর, ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে] রবীন্দ্রনাথ ইংল্যান্ড থেকে
S.S. City Lahore
নামক জাহাজে
করে ভারতবর্ষের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই জাহাজটি ভূমধ্যসাগরে অবস্থান কালে
রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেছিলেন
২৯ ভাদ্র
[১৪ সেপ্টেম্বর, রবিবার, ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ]
তারিখে।
গীতিমাল্য -এ
গৃহীত এই গানটির শেষে তারিখ এবং জাহাজের নামের সাথে 'মধ্যধরণী
সাগর'
উল্লেখ আছে। সম্ভবত 'ভূমধ্যসাগর'-এর
'মধ্যধরণী
সাগর'
নাম দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
এ সময়ে
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ৫ মাস ।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' থেকে গৃহীত হয়েছি। পৃষ্ঠা: ৪২৬। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। প্রার্থনা ৮। পৃষ্ঠা: ৪২-৪৩। [নমুনা: ৪২, ৪৩]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৯৯। উপবিভাগ: প্রার্থনা-৮। পৃষ্ঠা: ৪৬। [নমুনা]
সঞ্চয়িতা (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)। গীতিমাল্য, শিরোনাম: সুর। পৃষ্ঠা: ৪৮৪।
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) ২২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৬৬-৬৭।
পরিবেশনা:
১১ই মাঘ
১৩২০ বঙ্গাব্দ (শনি,
জানুয়ারি,
১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ)
তারিখে আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
প্রাতঃকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়-
আদি ব্রাহ্মসমাজ
মন্দিরে।
উক্ত অনুষ্ঠানে এই গানটি
গীত হয়েছিল।
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩২০ বঙ্গাব্দের
১১ই
মাঘ গানটি, প্রথম
আদি
ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
প্রাতঃকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই বছরের ফাল্গুন মাসে
তত্ত্ববোধিনী
এবং চৈত্র মাসে আনন্দসঙ্গীত ও প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
১৩২১
বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' গ্রন্থে এই গানটি স্থান পেয়েছিল।
১৩২৩ বঙ্গাব্দে গানটি 'কাব্যগ্রন্থ' নবম খণ্ডে 'গীতিমাল্য' অংশে স্থান পায়।
১৩২৫ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতলেখা দ্বিতীয় ভাগে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে, গীতিমাল্য থেকে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের
দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়। এরপর গীতবিতানের
অখণ্ড সংস্করণে গানটি গৃহীত হয় এবং ১৩৮০ বঙ্গাব্দে অখণ্ড গীতবিতানের তৃতীয় ও
সর্বশেষ সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৯৯ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।