বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ:
পূজা
(উপবিভাগ: বিরহ
১৯) পর্যায়ের ১৪৬ সংখ্যক গান।
আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে
বসন্তের এই মাতাল সমীরণে॥
যাব না গো যাব না যে, রইনু পড়ে ঘরের মাঝে—
এই নিরালায় রব আপন কোণে।
যাব না এই মাতাল সমীরণে॥
আমার এ ঘর বহু যতন ক'রে
ধুতে হবে মুছতে হবে মোরে।
আমারে যে জাগতে হবে, কী জানি সে আসবে কবে
যদি আমায় পড়ে তাহার মনে
বসন্তের এই মাতাল সমীরণে॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
RBVBMS 229 [নমুনা]
-
পাঠভেদ:
গানটির পাঠভেদ আছে। স্বরবিতান-৪০-এর
পাঠভেদ ৮৩ পৃষ্ঠায় নিম্নরূপ
পাঠভেদ আছে।
রইনু পড়ে ঘরের মাঝে
: আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা, অগ্রহায়ণ
১৩২৫
থাকবো প'ড়ে ঘরের মাঝে : গীতবিতান
(আশ্বিন ১৩৫৮)
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 29-
-তে লিখিত গানটির নিচে তারিখ উল্লেখ আছে '২২শে চৈত্র'।
উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দের
১০-১১ ফাল্গুন তারিখে উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- তৎকালীন পাবনা
ইনস্টটিউশনে। এই সম্মেলনে যোগদানের জন্য রবীন্দ্রানাথ ৫ ফাল্গুন [মঙ্গলবার ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৩
খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে শিলাইদহে আসেন।
১০ ফাল্গুন সকালে শিলাইদহ থেকে নৌকায় পদ্মা পার হয়ে পাবনা যান। সঙ্গে ছিলেন প্রমথ
চৌধুরী ও মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়। পাবনাতে এঁরা আতিথ্য গ্রহণ করেন শীতলাহির জমিদার
যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রের বাড়িতে।
সম্মেলন
শেষে
১২ই ফাল্গুন
তারিখে রবীন্দ্রনাথ
পাবনা থেকে শিলাইদহে
আসেন। এই সম্মেলনে নানাবিধ
তর্ক-বিতর্কের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৫
ফাল্গুনে তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন
এবং ওই দিনই
শিলাইদহ
থেকে পাল্কিযোগে কুষ্টিয়া শহরের দিকে রওনা দেন।
১৬ ফাল্গুন তারিখের ভোর বেলায় রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় পৌঁছান। আর কলকাতায় এক দিন থাকার
পর, ১৭ ফাল্গুন তারিখে রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শান্তিনিকতনে আসেন। ২৪শে
চৈত্র পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে কাটান। দীর্ঘভ্রমণ এবং এই সময় অসুস্থ
হয়ে পড়েন। এছাড়া সম্মেলনে নানাবিধ
তর্ক-বিতর্কের কারণে তাঁর মানসিক
অবস্থাও ততটা সুস্থির ছিল না। এই অবস্থার
ভিতরেও তাঁর গান লিখা অব্যাহত ছিল।
তিনি ১ চৈত্র থেকে ২৪
চৈত্র পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে মোট ১৯টি গান রচনা করেন। এই গানটি তিনি রচনা
করেছিলেন
২২
চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ,
[রবিবার
৫ এপ্রিল ১৯১৪
খ্রিষ্টাব্দ] তিনি এই গানটি রচনা করেন।
তখন
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
[ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩
বঙ্গাব্দ। গীতি-মাল্য ৮৬। পৃষ্ঠা ৩৮৪]
[নমুনা]
-
গীতবিতান
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা
১৪৬ । উপ-বিভাগ :
বিরহ ১৯
- গীতিমাল্য
-
প্রথম সংস্করণ
(১৯
আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। ৮৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা:
১০৮]
[নমুনা]
- রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৯৫-৯৬।
-
চত্বারিংশ খণ্ডের
(৪০) দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা ৭-৯।
[নমুনা]
পত্রিকা:
- আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা (অগ্রহায়ণ
১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র:
পাওয়া যায় নি।
-
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
১৩২১ বঙ্গাব্দে
গীতিমাল্যের
প্রথম সংস্করণ-এ
অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তরভুক্ত হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (১৩২৩) ও
আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা
'অগ্রহায়ণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ' সংখ্যা।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর
এই গ্রন্থের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ' উপবিভাগের ১৯ সংখ্যক
গান হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের
আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ে ১৪৬
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয়
সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি [নমুনা]
-
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুরকৃত স্বরলিপির তালিকা] -
সুর ও তাল:
- স্বরবিতান-৪০-এ
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত
স্বরলিপিটি ৩।২।২ মাত্রা ছন্দে 'তেওরা'
তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ:
বেহাগ। তাল:
তেওরা
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৫]।
-
রাগ:
বেহাগ। তাল:
তেওরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৪৯।
- গ্রহস্বর: না।
- লয়: মধ্য।