বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
প্রভু, তোমার বীণা যেমনি বাজে
পাঠ ও পাঠভেদ:
প্রভু, তোমার বীণা যেমনি বাজে
আঁধার-মাঝে
অমনি ফোটে তারা।
যেন সেই বীণাটি গভীর তানে
আমার প্রাণে
বাজে তেমনিধারা ॥
তখন নূতন সৃষ্টি প্রকাশ হবে
কী গৌরবে
হৃদয়-অন্ধকারে।
তখন স্তরে স্তরে আলোকরাশি
উঠবে ভাসি
চিত্তগগনপারে ॥
তখন তোমারি সৌন্দর্যছবি,
ওগো কবি,
আমায় পড়বে আঁকা—
তখন বিস্ময়ের রবে না সীমা,
ওই মহিমা
আর যাবে না ঢাকা।
তখন তোমারি প্রসন্ন হাসি
পড়বে আসি
নবজীবন-’পরে।
তখন আনন্দ-অমৃতে তব
ধন্য হব
চিরদিনের তরে ॥
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
RBVBMS 229
[নমুনা]
পাঠভেদ:
স্বরবিতান চত্বারিংশ খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩)
১৬৪
পৃষ্ঠা পাঠভেদ দেখানো হয়েছে।
সেই অনুসারে নিচে পাঠভেদ
দেখানো হলো।
তখন
স্তরে স্তরে আলোকরাশি....
আর যাবে
না ঢাকা :
কথার অংশ,
গীতলেখা ২
(১৩২৫)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তখন
স্তরে স্তরে আলোর রাশি
আর যাবে
না ঢাকা :
স্বরলিপি,
গীতলেখা ২
(১৩২৫)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
Ms.229
-এর ২১ পৃষ্ঠায় এই গানটির সাথে রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে '১৪ই পৌষ ১৩২০ শান্তিনিকেতন'। উল্লেখ্য, ৯ পৌষ ১৩২০ [বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর]
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় আসেন। এই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে।
১৪ পৌষ [২৯ ডিসেম্বর ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ] রবীন্দ্রনাথ আবার শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন এবং এই দিনেই তিনি এই গানটি রচনা করেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ৮ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গীতলেখা
দ্বিতীয় ভাগ
(১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত
স্বরলিপিসহ মুদ্রিত।
স্বরবিতান চত্বারিংশ (৪০) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) ২০ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা: ৬৪-৬৬।
[গীতলেখা
গ্রন্থে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা ]
পত্রিকা:
আনন্দ-সঙ্গীত
(জ্যৈষ্ঠ
১৩২২
বঙ্গাব্দ)।
ইন্দিরাদেবীকৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছে।
[আনন্দ-সঙ্গীত
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
তত্ত্ববোধিনী।
গান সংখ্যা ৩। (ফাল্গুন
১৩২০ বঙ্গাব্দ)।
পৃষ্ঠা: ২৩৭।
[নমুনা]
[তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
প্রবাসী
[চৈত্র
১৩২০ বঙ্গাব্দ।
গান ৯। পৃষ্ঠা: ৫৮১] [নমুনা]
[প্রবাসী
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
পরিবেশন:
১১ই মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ
(শনি,
জানুয়ারি, ১৯১৪
খ্রিষ্টাব্দ)
তারিখে আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
সান্ধ্যকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়-
আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে।
উক্ত অনুষ্ঠানে এই গানটি
গীত হয়েছিল।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২০ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ গানটি প্রথম
পরিবেশিত হয়েছিল আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
সান্ধ্যকালীন অধিবেশন। পরে গানটি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২০
বঙ্গাব্দ' এবং
প্রবাসী পত্রিকার 'চৈত্র
১৩২০ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
এরপর ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ
আনন্দ-সঙ্গীত
পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ
১৩২২
বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ১৩২১ বঙ্গাব্দে
গানটি 'গীতিমাল্য' গ্রন্থে অন্তর্ভুক হয়। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে গানটি কাব্যগ্রন্থ নবম
খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত
স্বরলিপিসহ গানটি
'গীতলেখা' দ্বিতীয় খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৩৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।