পাঠ ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা: ৭৭
তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভ’রে,
নিশিদিন অনিমেষে দেখছ মোরে॥
আমি চোখ এই আলোকে মেলব যবে
তোমার ওই চেয়ে-দেখা সফল হবে,
এ আকাশ দিন গুনিছে তারি তরে॥
ফাগুনের কুসুম-ফোটা হবে ফাঁকি
আমার এই একটি কুঁড়ি রইলে বাকি।
সে দিনে ধন্য হবে তারার মালা
তোমার এই লোকে লোকে প্রদীপ জ্বালা
আমার এই আঁধারটুকু ঘুচলে পরে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [পাণ্ডুলিপি]
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি MS.
NO 229 -তে গানটির রচনাকাল
উল্লেখ আছে, '১৩ চৈত্র'। উল্লেখ্য,
১৩২০ বঙ্গাব্দের
১০-১১ ফাল্গুন-এ
রবীন্দ্রনাথ
পাবনাতে অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে যোগদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে ১৭ই
ফাল্গুন তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। পাবনা-ভ্রমণ এবং নানাবিধ বিতর্কের ফলে ইনি
অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই ভিতরে তাঁর গান রচনা অব্যাহত ছিল। ১ চৈত্র থেকে ২৪ চৈত্র
পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে কাটান। এই সময় তিনি মোট ১৯টি গান রচনা করেন।
এর
ভিতরে
তিনি ১৩
চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ
[ শুক্রবার,
২৭ মার্চ ১৯১৪
খ্রিষ্টাব্দ]
এই গানটি রচনা করেন। তখন
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড গীতিমাল্য-৮০ ( ইন্ডিয়ান প্রেস। ১৩২৩ বঙ্গাব্দ) । পৃষ্ঠা: ৩৭৮ [নমুনা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য'-এর গান থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৪৫১। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ৪৫। পৃষ্ঠা: ৩৩। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৭৭। উপবিভাগ: বন্ধু ৪৫। পৃষ্ঠা: ৩৭।
প্রথম সংস্করণ, (১৩২১) ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ৮০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১০২। [নমুনা]
[রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)]। ৮০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৯২।
গীতি-চর্চ্চা গান সংখ্যা ৬৫ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৪৮-৪৯।
পত্রিকা
তত্ত্ববোধিনী (মাঘ
১৩২১ বঙ্গাব্দ,
১৮৩৬ শকাব্দ)।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২১ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকায়
গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। পরে
এই গানটি
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' নামক গানের বইতে
অন্তর্ভুক্ত হয়।
এরপর
১৩২৩
বঙ্গাব্দে কাব্য-গ্রন্থের নবম খণ্ডে এই গানটি 'গীতিমাল্য' অংশে অন্তর্ভুক্ত
হয়। ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিচর্চ্চা-য় গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়,
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' থেকে। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৭৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপিকার:
অনাদিকুমার দস্তিদার।
[অনাদিকুমার
দস্তিদার-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান এক্চত্বারিংশ
(৪১) খণ্ডে (বৈশাখ ১৪১৩)
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা
ছন্দে 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
[দাদরা তালে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ: সাহানা। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত :রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা: ৫৫]।
কীর্তন। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৯৭।]
গ্রহস্বর: মা।
লয়: মধ্য।