• গীতবিতান অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা ৫৩।

ওদের সাথে মেলাও যারা চরায় তোমার ধেনু,

তোমার নামে বাজায় যারা বেণু ॥

পাষাণ দিয়ে বাঁধা ঘাটে   এই-যে কোলাহলের হাটে

কেন আমি কিসের লোভে এনু ॥

ওরা কী ডাক ডাকে বনের পাতাগুলি,   কার ইশারা -তৃণের অঙ্গুলি !

      প্রাণেশ আমার লীলাভরে  খেলেন প্রাণের খেলাঘরে,

       পাখির মুখে এই-যে খবর পেনু ॥

• পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]

• তথ্যানুসন্ধান

  • ক. রচনাকাল ও স্থান: RBVBMS 229 পাণ্ডুলিপিতে গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে '২৩ চৈত্র'। উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দের চৈত্রমাসের প্রথম দিকে, রবীন্দ্রনাথ বিশ্রামের জন্য শিলাইদহে আসেন। পাবনা-ভ্রমণ এবং নানাবিধ বিতর্কের ফলে ইনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই ভিতরে তাঁর গান লিখা অব্যাহত ছিল। ১ চৈত্র থেকে ২৪ চৈত্র পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকতেন অবস্থান করেন। ২৩ চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ [৬ এপ্রিল ১৯১৪] তারিখে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথে বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১১ মাস।  
            [রবীন্দ্রনাথের ৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
     

• খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:

  • গ্রন্থ:
    • কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড। [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতিমাল্য গান ৮৭। পৃষ্ঠা: ৩৮৫] [নমুনা]

    • গীতিচর্চ্চা [বিশ্বভারতী, ১৩৩২ বঙ্গাব্দ। গান ৬৬। পৃষ্ঠা: ৪৯] [নমুনা]

    • গীতবিতান

      • দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিমাল্য থেকে গৃহীত।  পৃষ্ঠা: ৪৫৫] [নমুনা]  

      • প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ২১ । পৃষ্ঠা: ২৪। [নমুনা]
      • অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৫৩। উপবিভাগ: বন্ধু ২১। পৃষ্ঠা: ২৭।

    • গীতলেখা ৩য় ভাগ (অগ্রহায়ণ ১৩২৭ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত  হয়েছিল।

    • গীতিমাল্য

      • ৮৭ সংখ্যক গান (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ১০৯। [নমুনা]

      • ৮৭ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা ১৯৬।

    • স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১ ) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) দশম গান। পৃষ্ঠা: ২৯-৩০।

  • পত্রিকা:

    • আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা (আশ্বিন-কার্তিক ১৩২২ বঙ্গাব্দ)। স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল, কিন্তু স্বরলিপিকারের নাম উল্লেখ ছিল না। সুর-তাল অনুল্লেখিত।

  • প্রকাশের কালানুক্রম: 
    ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিমাল্যে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা 'র 'আশ্বিন-কার্তিক ১৩২২ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থ' নবম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত -গীতিমাল্য'র গান হিসেবে প্রকাশিত হয়। ১৩২৭ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণে গীতলেখা ৩য় ভাগ-এ এই গানটি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া গীতিচর্চ্চাতে গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়।
    
    ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৪৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৫৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
     

• গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
  • স্বরলিপি:  [নমুনা]
  • স্বরলিপিকার:
    • দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।  গীতলেখা তৃতীয় ভাগ থেকে স্বরবিতান একচত্বারিংশ খণ্ডে (বৈশাখ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত হয়েছে।
                            [দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
                           
    • ইন্দিরা দেবী। আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা (আশ্বিন-কার্তিক ১৩২২ বঙ্গাব্দ) পত্রিকা।

  • রাগ ও তাল:

    • স্বরবিতান একচত্বারিংশ খণ্ডে (বৈশাখ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪/৪ ছন্দে কাহারবাতালে নিবদ্ধ।

    • রাগ: ভৈরব। অঙ্গ: বাউল। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।]। পৃষ্ঠা: ৪২
    • কীর্তন । তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৭৭ ।
              [ভৈরব রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
              [কাহারবা তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
    • মিশ্র (কীরতন-বাউল)।
              [বাউলাঙ্গের রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]

  • গ্রহস্বর: পা।

  • লয়: দ্রুত।