বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আপনাকে
এই জানা আমার ফুরাবে না
পাঠ ও পাঠভেদ:
আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না।
এই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা॥
কত জনম-মরণেতে তোমারি ওই চরণেতে
আপনাকে যে দেব, তবু বাড়বে দেনা॥
আমারে যে নামতে হবে ঘাটে ঘাটে,
বারে বারে এই ভুবনের প্রাণের হাটে।
ব্যবসা মোর তোমার সাথে চলবে বেড়ে দিনে রাতে,
আপনা নিয়ে করব যতই বেচা কেনা॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [পাণ্ডুলিপি]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS
229 পাণ্ডুলিপিতে তারিখ উল্লেখ আছে, '১৭ চৈত্র'।
উল্লেখ্য,
১৩২০ বঙ্গাব্দের
১০-১১ ফাল্গুন-এ
রবীন্দ্রনাথ
পাবনাতে অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে যোগদান করেন। অনুষ্ঠান
শেষে ১৭ই
ফাল্গুন তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। পাবনা-ভ্রমণ এবং নানাবিধ বিতর্কের ফলে
ইনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই ভিতরে তাঁর গান রচনা অব্যাহত ছিল। ১ চৈত্র থেকে
২৪ চৈত্র পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে কাটান। এই সময় তিনি মোট ১৯টি গান রচনা করেন।
এর ভিতর এই গানটি রচনা করেছিলেন
১৭
চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ,
[মঙ্গলবার,
৩১ মার্চ ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ]।
তখন
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস। ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতিমাল্য-৮৪ । পৃষ্ঠা: ৩৮২ [নমুনা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য'-এর গান থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৪৫৩] [নমুনা]
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ৮৪ সংখ্যক গান । পৃষ্ঠা: ১০৬] [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। ৮৪ সংখ্যক গান । পৃষ্ঠা ১৯৪।]
গীতিচর্চ্চা (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ৩৫। পৃষ্ঠা: ২২-২৩। [নমুনা: ২২, ২৩]
স্বরবিতান এক্চত্বারিংশ
(৪১)
খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা ৭-৮।
প্রকাশের
কালানুক্রম: এই গানটি
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' নামক গানের বইতে
অন্তর্ভুক্ত হয়।
এরপর
১৩২৩
বঙ্গাব্দে কাব্য-গ্রন্থের নবম খণ্ডে এই গানটি 'গীতিমাল্য' অংশে অন্তর্ভুক্ত
হয়। ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিচর্চ্চা-য় গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়,
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' থেকে। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৭৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
অনাদিকুমার দস্তিদার। [পাণ্ডুলিপি থেকে
স্বরবিতান
এক্চত্বারিংশ
(৪১)
খণ্ডের (চৈত্র ১৩৬১)
গৃহীত হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রণে
(বৈশাখ
১৪১৩)
অবিকৃতভাবেই আছে।]
[অনাদিকুমার
দস্তিদার-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান এক্চত্বারিংশ
(৪১)
খণ্ডে (বৈশাখ ১৪১৩)
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন
দেখানো
হয়েছে,
৩।৩
মাত্রা ছন্দে
দাদরা
তালে নিবদ্ধ।
[দাদরা তালে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ ভৈরবী। অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা [রবীন্দ্রসংগীত :রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা: ২৭]।
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৫৩।]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।