বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তোমার
আনন্দ ওই এল দ্বারে
পাঠ ও পাঠভেদ:
তোমার আনন্দ ওই এল দ্বারে, এল এল এল গো। ওগো পুরবাসী
বুকের আঁচলখানি ধুলায় পেতে আঙিনাতে মোলো গো ॥
পথে সেচন কোরো গন্ধবারি মলিন না হয় চরণ তারি,
তোমার সুন্দর ওই এল দ্বারে, এল এল এল গো।
আকুল হৃদয়খানি সম্মুখে তার ছড়িয়ে ফেলো ফেলো গো ॥
তোমার সকল ধন যে ধন্য হল হল গো।
বিশ্বজনের কল্যাণে আজ ঘরের দুয়ার খোলো গো।
হেরো রাঙা হল সকল গগন, চিত্ত হল পুলকমগন,
তোমার নিত্য আলো এল দ্বারে, এল এল এল গো।
তোমার পরানপ্রদীপ তুলে ধোরো, ওই আলোতে জ্বেলো গো ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 229 [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান:
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229 পাণ্ডুলিপিতে
গানটির সাথে উল্লেখ আছে, '৩
বৈশাখ/১৩১৫/শান্তিনিকেতন'।
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'গীতিমাল্য'-তে গানটির তারিখ '১লা
বৈশাখ ১৩২১ শান্তিনিকেতন'। সম্ভবত পাণ্ডুলিপির তারিখটি ভুলক্রমে '১৯১৫'-এর
পরিবর্তে '১৩১৫' হয়ে গিয়েছিল।৩ বৈশাখ ১৩২১
বঙ্গাব্দ।
শান্তিনিকেতন।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর
৫২ বৎসর ১১ মাস অতিক্রান্ত বয়সে গানটি রচনা করেছিলেন। উল্লেখ্য,
১৩২১ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ছিলেন।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
শাপমোচন
প্রথম সংস্করণ [১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৩] [নমুনা]
দ্বিতীয় সংস্করণে [১৩৩৯ সংস্করণ] নমুনা পাওয়া যায় নি।
রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। শাপমোচন। পৃষ্ঠা ৯১।
সঞ্চয়িতা [বিশ্বভারতী ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। গীতিমাল্য। শিরোনাম: অতিথি। পৃষ্ঠা: ৪৮৩] [নমুনা]
স্বরলিপি সংবলিত শাপমোচন [ফাল্গুন ১৩৭১। বাণী অংশ : পৃষ্ঠা ১৪। স্বরলিপি অংশ : ৪৯-৫৫]
পত্রিকা: আনন্দসংগীত [শ্রাবণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল
শাপমোচন
প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে শাপমোচন নামক গ্রন্থের সাথে প্রকাশিত হয়। এছাড়া এই বছরেই সঞ্চয়িতা অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়। পরের বছর শাপমোচনের দ্বিতীয় সংস্করণেও (১৩৩৯ বঙ্গাব্দ) গানটি রাখা হয়েছিল। এরপর গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের আনন্দ উপবিভাগের পঞ্চম গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ৩১৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এছাড়া আনুষ্ঠানিক পর্যায়ের (সংযোজন) ২১ সংখ্যক গানস্বরবিতান-৪০-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।৩ ছন্দ ; অর্থাৎ গানটি দাদরা’ তালে নিবদ্ধ।
রাগ: পিলু। তাল: দাদরা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।। পৃষ্ঠা: ৫৬]।
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৯৮।
গ্রহস্বর-সা।
লয়- দ্রুত।