বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আমার যে আসে কাছে,
যে যায় চলে দূরে
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার যে আসে কাছে, যে যায় চলে দূরে,
কভু পাই বা কভু না পাই যে বন্ধুরে,
যেন এই কথাটি বাজে মনের সুরে—
তুমি আমার কাছে এসেছ ॥
কভু মধুর রসে ভরে হৃদয়খানি,
কভু নিঠুর বাজে প্রিয়মুখের বাণী,
তবু নিত্য যেন এই কথাটি জানি—
তুমি স্নেহের হাসি হেসেছ ॥
ওগো, কভু সুখের কভু দুখের দোলে
মোর জীবন জুড়ে কত তুফান তোলে,
যেন চিত্ত আমার এই কথা না ভোলে—
তুমি আমায় ভালোবেসেছ।
যবে মরণ আসে নিশীথে গৃহদ্বারে
যবে পরিচিতের কোল হতে সে কাড়ে,
যেন জানি গো সেই অজানা পারাবারে
এক তরীতে
তুমিও ভেসেছ
॥
[RBVBMS 229] [নমুনা]
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে-'১লা
কার্তিক/ শান্তিনিকেতন।
উল্লেখ্য,
১৩২০
বঙ্গাব্দের ১১ আশ্বিন [শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর] রবীন্দ্রনাথ
বোম্বাইতে পৌঁছান। ১৩ আশ্বিন [সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর] তিনি রেলপথে কলকাতা পৌঁছান।
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ১৪ আশ্বিন গিয়ে ১৬ আশ্বিনে আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। ২৫
আশ্বিন [১১ অক্টোবর] শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। এরপর শান্তিনিকেতনে
১লা কার্তিক [শনিবার ১৮ অক্টোবর] গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল-
৫২ বৎসর ৬ মাস।
[৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গীতলেখা দ্বিতীয় ভাগ (১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতিমাল্য
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড
(বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৬৮-৬৯।
৪৫ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১) খণ্ডের চতুর্থ গান। পৃষ্ঠা ১২-১৫। [নমুনা]
পত্রিকা:
আনন্দসঙ্গীত (ফাল্গুন ১৩২০ বঙ্গাব্দ)। ব্রজেন্দ্রলাল গাঙ্গুলি-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
তত্ত্ববোধিনী [ফাল্গুন ১৩২০ বঙ্গাব্দ। গান ৯। পৃষ্ঠা ২৩৮-২৩৯] [নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ]
প্রবাসী
[চৈত্র
১৩২০ বঙ্গাব্দ।
গান সংখ্যা ১৫। পৃষ্ঠা: ৫৮২-৫৮৩]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
প্রকাশের কালানুক্রম: ১১ই মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ (শনি, জানুয়ারি, ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক ব্রহ্মোৎসবের সান্ধ্যকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়- আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে। উক্ত অনুষ্ঠানে এই গানটি