বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তোমায়
আমায় মিলন হবে ব'লে আলোয় আকাশ ভরা।
পাঠ ও পাঠভেদ:
তোমায় আমায় মিলন হবে ব'লে আলোয় আকাশ ভরা।
তোমায় আমায় মিলন হবে ব'লে ফুল্ল শ্যামল ধরা ॥
তোমায় আমায় মিলন হবে ব’লে
রাত্রি জাগে জগৎ লয়ে কোলে,
উষা এসে পূর্বদুয়ার খোলে কলকণ্ঠস্বরা ॥
চলছে ভেসে মিলন-আশা-তরী অনাদিস্রোত বেয়ে।
কত কালের কুসুম উঠে ভরি বরণডালি ছেয়ে।
তোমায় আমায় মিলন হবে ব’লে
যুগে যুগে বিশ্বভুবনতলে
পরান আমার বধূর বেশে চলে চিরস্বয়ম্বরা ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229
-এর ২২ পৃষ্ঠায় এই গানের সাথে রচনার কাল উল্লেখ আছে '১৫ই পৌষ ১৩২০'।
উল্লেখ্য, ৯ পৌষ ১৩২০ [বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর] রবীন্দ্রনাথ
শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় আসেন। এই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে
সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। ১৪ পৌষ রবীন্দ্রনাথ আবার শান্তিনিকেতনে ফিরে
আসেন। ১৫
পৌষ [৩০ ডিসেম্বর ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ]
তিনি এই গানটি রচনা করেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫২ বৎসর
৮ মাস।
[৫২
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ, ৯ম খণ্ড, গীতিমাল্য ৫২ (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৩৪৮। [নমুনা]
৫২ সংখ্যক গান। (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস। ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৭২। [নমুনা]
৫২ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা ১৭৪।
গীতলেখা
তৃতীয় ভাগ
(১৩২৭ বঙ্গাব্দ)।
দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
[গীতলেখা
গ্রন্থে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা ]
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) ১৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৮-৫০।
পত্রিকা:
আনন্দ-সঙ্গীত
পত্রিকা
[ফাল্গুন ১৩২২ বঙ্গাব্দ]।
ইন্দিরাদেবী-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
[আনন্দ-সঙ্গীত
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন
১৩২০ বঙ্গাব্দ)।
পৃষ্ঠা: ২২৪।
[নমুনা]
[তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
প্রবাসী
[চৈত্র
১৩২০ বঙ্গাব্দ।
গান ৫।
পৃষ্ঠা: ৫৮০] [নমুনা]
[প্রবাসী
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রেকর্ডসূত্র: সিদ্ধার্থ ঘোষের রচিত রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত (ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর ১৯৮৯) গ্রন্থ থেকে আলোচ্য গানের ২টি রেকর্ডসূত্রের তথ্য পাওয়া যায়।
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে কলম্বিয়া রেকর্ড কোম্পানি কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীতের রেকর্ড প্রকাশ করে। এই গানটির রেকর্ডে গেয়েছিলেন হরিপদ চট্টোপাধ্যায়। রেকর্ড নম্বর N 7017। [পৃষ্ঠা: ৫৪]
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত 'পরিচয়' ছবিতে এই গান ব্যবহার করা হয়েছিল। এইচএমভি এই গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল এই বছরেই। শিল্পী ছিলেন সতী দেবী। রেকর্ড নম্বর H 987। [পৃষ্ঠা: ৬৩]
পরিবেশন:
১১ই মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ
(শনি,
জানুয়ারি, ১৯১৪
খ্রিষ্টাব্দ)
তারিখে আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
প্রাতঃকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়-
আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে।
উক্ত অনুষ্ঠানে এই গানটি
গীত হয়েছিল।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১১ই মাঘ
১৩২০
বঙ্গাব্দ (শনি,
জানুয়ারি, ১৯১৪
খ্রিষ্টাব্দ)
তারিখে আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
প্রাতঃকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়-
আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে।
উক্ত অনুষ্ঠানে এই গানটি
গীত হয়েছিল।
এর পরের মাসে (ফাল্গুন)
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই বছরেই চৈত্র মাসে গানটি পুনরায়
প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর
১৩২১ বঙ্গাব্দে
ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস থেকে
প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' নামক
গ্রন্থে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩২২ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে,
ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ আনন্দসঙ্গীত পত্রিকায় এই গানটি প্রকাশিত হয়।
১৩২৩ বঙ্গাব্দে গানটি
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ডের গীতিমাল্য অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ের 'বন্ধু' উপ-বিভাগে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৩৪ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রকাশিত হয়েছিল।
স্বরবিতান একচত্বারিংশ খণ্ডে (বৈশাখ ১৪১৩)
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩
ছন্দের
একতাল
-এ নিবদ্ধ
[একতালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
বাউল। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৯৮।
অঙ্গ:
কীর্তনাঙ্গ
[কীর্তনাঙ্গের
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: ধনা।
লয়: মধ্য।