বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
কেন
চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না শুকনো
ধুলো যতো
।
পাঠ ও পাঠভেদ:
কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না শুকনো ধুলো যত !
কে জানিত আসবে তুমি গো অনাহূতের মতো ॥
পার হয়ে এসেছ মরু, নাই যে সেথায় ছায়াতরু—
পথের দুঃখ দিলেম তোমায় গো এমন ভাগ্যহত ॥
আলসেতে বসে ছিলেম আমি আপন ঘরের ছায়ে,
জানি নাই যে তোমার কত ব্যথা বাজবে পায়ে পায়ে।
ওই বেদনা আমার বুকে বেজেছিল গোপন দুখে—
দাগ দিয়েছে মর্মে আমার গো গভীর হৃদয়ক্ষত ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ:
স্বরবিতান একচত্বারিংশ
খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩)-এর
৮১ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে
নিচের
পাঠভেদ অংশটি তুলে ধরা হলো।
পার
হয়ে এসেছ মরু....
আলসেতে বসে ছিলেম আমি
ওই
বেদনা আমার বুকে : স্বরলিপি,
গীতলেখা ৩ (১৩২৭)
তুমি
পার হ’য়ে
এসেছো মরু....
তখন
আলসেতে ব’সেছিলেম
...
তবু
ঐ বেদনা আমার বুকে : কথার অংশ,
গীতলেখা ৩ (১৩২৭)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
[RBVBMS 229]
পাণ্ডুলিপিতে গানটির
সাথে রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে, '২৪
চৈত্র শান্তিনিকেতন'। উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে
শান্তিনিকেতনে অবস্থানকালে
রবীন্দ্রনাথ
মোট ১৩টি গান রচনা করেছিলেন।
এর ভিতরে এই গানটিসহ তিনি মোট
৪টি গান রচনা করেন
২৪ চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ
[৭ এপ্রিল ১৯১৩] তারিখে।
এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল
৫২ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গীতলেখা ৩য় ভাগ (অগ্রহায়ণ ১৩২৭ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ৯১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১১৩] [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্ববভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। ৯১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৯৮-৯৯।
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) ১১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩১-৩৩।
পত্রিকা:
আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা (পৌষ ১৩২২ বঙ্গাব্দ)। ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ড:
১৯১৬
খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন রেকর্ড
কোম্পানি এই গানের
রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই গানটির শিল্পী ছিলেন হরেন্দ্রনাথ দত্ত।
রেকর্ড নম্বর
P 6574।
[সূত্র:
রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত। সিদ্ধার্থ ঘোষ। ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন।
নভেম্বর ১৯৮৯]
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিমাল্যে এই গানটি
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ
আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা 'র 'পৌষ ১৩২২ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থ' নবম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত
-গীতি-মাল্য'র গান হিসেবে প্রকাশিত হয়।
১৩২৭ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণে
গীতলেখা
৩য় ভাগ- তে গানটি দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের
প্রথম
সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে
এই গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায় পূজা
পর্যায়ের ৫১ সংখ্যক গান। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড
গীতবিতানে গানটি ৫১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের
এবং সর্বশেষ সংস্করণে এটি
পূজা পর্যায়ের
গানটি ৫১সংখ্যক গান
হিসেবেই রয়েছে।
রাগ ও তাল:
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১ ) খণ্ডে (বৈশাখ ১৪১৩) গৃহীত স্বরলিপিতে
রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩
মাত্রা ছন্দে ‘দাদরা'
তালে নিবদ্ধ।
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ-তাল : পিলু -কাফি/দাদরা । [রবীন্দ্রসংগীতের ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন। ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত মজুমদার। সাহিত্যলোক। পৌষ ১৩৯৪। ডিসেম্বর ১৯৮৭। পৃষ্ঠা : ১০৭]
রাগ : পিলু-ভীমপলশ্রী।
তাল: দাদরা।
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি
১৯৯৩)।
পৃষ্ঠা: ৪৬]।
[পিলু
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ: পিলু। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৮৪।]
গ্রহস্বর: মা।
লয়: মধ্য।