বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমায় বাঁধবে
যদি
কাজের ডোরে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমায় বাঁধবে যদি কাজের ডোরে
কেন পাগল কর এমন ক'রে ?।
বাতাস আনে কেন জানি কোন্ গগনের গোপন বাণী,
পরানখানি দেয় যে ভ’রে ॥
সোনার আলো কেমনে হে, রক্তে নাচে সকল দেহে।
কারে পাঠাও ক্ষণে ক্ষণে আমার খোলা বাতায়নে,
সকল হৃদয় লয় যে হ’র ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229পাণ্ডুলিপিতে
গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে ২৪ চৈত্র। উল্লেখ্য,
২৫
চৈত্র [বুধ ৮ এপ্রিল,
১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে রবীন্দ্রনাথ
শান্তিনিকেতন থেকে কলিকাতায়
আসেন। শান্তিনিকেতনে
অবস্থানকালে তিনি মোট ১৩টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে ৪টি গান রচনা করেন
২৪ চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ
[৭ এপ্রিল ১৯১৩] তারিখে। এই গানটি তার মধ্যে একটি। অপর
তিনটি গান হলো—
‘কেন
চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না’,
‘তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে
দিলে মোর প্রাণে’,
ও
‘সকাল-সাঁজে
ধায় যে ওরা নানা কাজে’।
এই
সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল-
৫২ বৎসর ১১ মাস বয়স।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গীতলেখা ৩য় ভাগ (অগ্রহায়ণ ১৩২৭ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতিচর্চ্চা (বিশ্বভারতী, ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ১৮৫। পৃষ্ঠা: ১৪৫। [নমুনা]
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান পাবলিশার্স, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ৯০ সংখ্যক গান পৃষ্ঠা: ১১২] [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। ৯০ সংখ্যক গান।পৃষ্ঠা ১৯৮।
শেফালি (ভাদ্র ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম (৫০,শেফালি) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ২৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৮১-৮২।
পত্রিকা:
আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা (জ্যৈষ্ঠ ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল, কিন্তু স্বরলিপিকারের নাম উল্লেখ ছিল না।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিমাল্যে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা 'র 'জ্যৈষ্ঠ ১৩২২ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত
হয়েছিল। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থ' নবম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত -গীতিমাল্য'র গান হিসেবে
প্রকাশিত হয়। ১৩২৬ বঙ্গাব্দে শেফালি'র অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৫২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।