বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তার
অন্ত নাই গো যে
আনন্দে
গড়া আমার
অঙ্গ।
পাঠ
ও পাঠভেদ:
তার অন্ত নাই গো যে আনন্দে গড়া আমার অঙ্গ।
তার অণু-পরমাণু পেল কত আলোর সঙ্গ,
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
তারে মোহনমন্ত্র দিয়ে গেছে কত ফুলের গন্ধ,
তারে দোলা দিয়ে দুলিয়ে গেছে কত ঢেউয়ের ছন্দ,
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
আছে কত সুরের সোহাগ যে তার স্তরে স্তরে লগ্ন,
সে যে কত রঙের রসধারায় কতই হল মগ্ন,
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
কত শুকতারা যে স্বপ্নে তাহার রেখে গেছে স্পর্শ,
কত বসন্ত যে ঢেলেছে তায় অকারণের হর্ষ,
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
সে যে প্রাণ পেয়েছে পান করে যুগ-যুগান্তরের স্তন্য-
ভুবন কত তীর্থজলের ধারায় করেছে তায় ধন্য,
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
সে যে সঙ্গিনী মোর, আমারে সে দিয়েছে বরমাল্য।
আমি ধন্য, সে মোর অঙ্গনে যে কত প্রদীপ জ্বালিল-
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 229 [নমুনা]
গীতলেখা ৩য় ভাগ (১৩২৭ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
সঞ্চয়িতা [বিশ্বভারতী ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। গীতিমাল্য। শিরোনাম: দেহ। পৃষ্ঠা: ৪৮২] [নমুনা]
পত্রিকা:
আনন্দসংগীত [মাঘ-চৈত্র ১৩২৪ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল]
স্বরবিতান-৪১-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'একতাল'-এ নিবদ্ধ।
গ্রহস্বর-র্সা। লয়-মধ্য।
কীর্তনাঙ্গ।