বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
মোর প্রভাতের এই প্রথম খনের কুসুমখানি
পাঠ ও পাঠভেদ:
মোর প্রভাতের এই প্রথম খনের কুসুমখানি
তুমি জাগাও তারে ওই নয়নের আলোক হানি ॥
সে যে দিনের বেলায় করবে খেলা হাওয়ায় দুলে,
রাতের অন্ধকারে নেবে তারে বক্ষে তুলে—
ওগো তখনি তো গন্ধে তাহার ফুটবে বাণী ॥
আমার বীণাখানি পড়ছে আজি সবার চোখে,
হেরো তারগুলি তার দেখছে গুনে সকল লোকে।
ওগো কখন সে যে সভা ত্যেজে আড়াল হবে,
শুধু সুরটুকু তার উঠবে বেজে করুণ রবে—
যখন তুমি তারে বুকের ’পরে লবে টানি ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [পাণ্ডুলিপি]
পাঠভেদ:
ওগো তখনি তো গন্ধে তাহার ফুটবে বাণী
[গীতবিতান
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)]
ওগো তখনি ত গন্ধে তাহার ফুটবে বাণী
[পাণ্ডুলিপি,
MS. NO
229]
আমার বীণাখানি পড়ছে আজি সবার চোখে
[গীতবিতান
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)]
আমার বীণাখানি পড়চে আজি সবার চোখে
[পাণ্ডুলিপি,
MS. NO
229]
হেরো তারগুলি তার দেখছে গুনে সকল লোকে
[গীতবিতান
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)]
হের তারগুলি তার দেখছে গুনে সকল লোকে
[পাণ্ডুলিপি ,
MS. NO
229]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: পাণ্ডুলিপিতে
MS. NO 229
গানটির সাথে রচনাকাল এবং স্থানের
উল্লেখ আছে- '১লা বৈশাখ ১৩১৫ শান্তিনিকেতন'।
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'গীতিমাল্য'-তে গানটির তারিখ '১লা
বৈশাখ ১৩২১ শান্তিনিকেতন'। সম্ভবত পাণ্ডুলিপির তারিখটি ভুলক্রমে '১৯১৫'-এর
পরিবর্তে '১৩১৫' হয়ে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য
১১ মাঘ ১৩২২ বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ]-এ ৮৬তম সাংবৎসরিক
মাঘোৎসবে গানটি পরিবেশিত হয়। পরে
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার
'ফাল্গুন ১৩২২
বঙ্গাব্দ, ১৮৩৭ শকাব্দ' সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, 'নূতন ব্রহ্মসঙ্গীত'
নামে। এই
সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর
১২ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের গানে তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ ৯ম খণ্ড, গীতিমাল্য গান: ৯৬। (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা ৩৯৪।
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ৮। পৃষ্ঠা: ১৮-১৯ [নমুনা: ১৮, ১৯]
অখণ্ড গীতবিতান, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৪০। উপবিভাগ: বন্ধু ৮। পৃষ্ঠা: ২২ [নমুনা]
গীতলেখা ২য় ভাগ (১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান একচত্বারিংশ খণ্ডে (৪১) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) ২৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৬৮-৭০।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩২২ বঙ্গাব্দ, ১৮৩৭ শকাব্দ), নূতন ব্রহ্মসঙ্গীত ৩, পৃষ্ঠা ২০৫। [নমুনা]
আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা (মাঘ-চৈত্র ১৩২৪ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩২২ বঙ্গাব্দের
১১ই মাঘ
[২৫
জানুয়ারি ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ]
সাংবৎসরিক
মাঘোৎসব-৮৬' অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের ১৬টি গান
পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে প্রাতঃকালীন অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল ৬টি গান এবং
সায়ংকালীন অধিবেশনে ৭টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এই গানটি
প্রাতঃকালীন উপাসনায় গীত হয়েছিল। পরে
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার
ফাল্গুন সংখ্যায়
গানটি প্রকাশিত হয়েছিল 'নূতন ব্রহ্মসঙ্গীত'-এর তৃতীয় গান হিসেবে। ১৩২৩
বঙ্গাব্দে গানটি
কাব্যগ্রন্থ,
নবম খণ্ডের 'গীতিমাল্য' অংশে গৃহীত হয়েছিল।
ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ এই গানটি
আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা
'শ্রাবণ ১৩২৪ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৪০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ্রহস্বর: মা।
লয়: মধ্য।