বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
গাব
তোমার
সুরে
দাও
সে
বীণাযন্ত্র
পাঠ ও পাঠভেদ:
গাব তোমার সুরে দাও সে বীণাযন্ত্র,
শুনব তোমার বাণী দাও সে অমর মন্ত্র।
করব তোমার সেবা দাও সে পরম শক্তি,
চাইব তোমার মুখে দাও সে অচল ভক্তি॥
সইব তোমার আঘাত দাও সে বিপুল ধৈর্য,
বইব তোমার ধ্বজা দাও সে অটল স্থৈর্য॥
নেব সকল বিশ্ব দাও সে প্রবল প্রাণ,
করব আমায় নিঃস্ব দাও সে প্রেমের দান॥
যাব তোমার সাথে দাও সে দখিন হস্ত,
লড়ব তোমার রণে দাও সে তোমার অস্ত্র॥
জাগব তোমার সত্যে দাও সেই আহবান।
ছাড়ব
সুখের
দাস্য
দাও
দাও
কল্যাণ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপি-তে লিখিত গানটির
সাথে স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে '৭ই পৌষ'/শান্তিনিকেতন'। এই
সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫২ বৎসর
৮ মাস।
গানটি '৭ই
পৌষ'
১৩২০ বঙ্গাব্দ তারিখে
রচিত হয়েছিল।
কিন্তু
প্রবাসী
পত্রিকার
ভাদ্র ১৩২০
বঙ্গাব্দ
সংখ্যায় এবং
বঙ্গদর্শন
পত্রিকার
অগ্রহায়ণ ১৩২০
বঙ্গাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবে মনে
হতে পারে-
গানটি রচনার পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকৃত পক্ষে যা ঘটেছিল,তা হলো-
'প্রবাসী'-র
পৌষ ১৩২০ সংখ্যা ও 'বঙ্গদর্শন'
–এর
অগ্রহায়ণ ১৩২০ সংখ্যা
বিলম্বে প্রকাশিত হয়েছিল। ফলে ৭
পৌষ
১৩২০ বঙ্গাব্দ তারিখে রচিত এ গানটি যখন উক্ত পত্রিকা দুটিতে পাঠানো হয়,
তখনো পত্রিকা দুটি
প্রকাশিত হয় নি। কিন্তু যখন উক্ত গানটি-সহ পত্রিকা দুটি প্রকাশিত হলো,
তখন পত্রিকার বিলম্বিত তারিখটি (ভাদ্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ) মুদ্রিত হয়েছিল। এ কারণেই এ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩)। গীতিমাল্য ৫০। পৃষ্ঠা: ৩৪৪-৩৪৫। [নমুনা: ৩৪৪, ৩৪৫]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' থেকে গৃহীত হয়েছি। পৃষ্ঠা: ৪৩৩-৪৩৪। [নমুনা: ৪৩৩, ৪৩৪ ]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। প্রার্থনা ৬। পৃষ্ঠা: ৪১-৪২। [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৯৭। উপবিভাগ: প্রার্থনা-৬। পৃষ্ঠা: ৪৪।
গীতলেখা প্রথম ভাগ (১৩২৪ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতিচর্চ্চা [বিশ্বভারতী, ১৩৩২ বঙ্গাব্দ। ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮-৯। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। গান সংখ্যা: ৫০। পৃষ্ঠা: ১৭২।
বৈতালিক (চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান ঊনচত্বারিংশ (৩৯) খণ্ডের (ফাল্গুন ১৪১৩) ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৩৫-৩৭।
পত্রিকা:
বঙ্গদর্শন (অগ্রহায়ণ ১৩২০)। শিরোনাম-‘প্রার্থনা’।
পৃষ্ঠা: ৬২০(চ)। [নমুনা]
পরিবেশনা: ১১ই মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ
(শনি,
জানুয়ারি, ১৯১৪
খ্রিষ্টাব্দ)
তারিখে আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
প্রাতঃকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়-
আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে।
উক্ত অনুষ্ঠানে এই গানটি
গীত হয়েছিল।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
বঙ্গদর্শন পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১৩২০ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি প্রথম
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর
১৩২০ বঙ্গাব্দের
১১ই
মাঘ
চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়। এই বছরের ফাল্গুন মাসে
এই গানটি
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর একমাস পরে 'প্রবাসী' পত্রিকার চৈত্র সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়।
১৩২১ বঙ্গাব্দে গানটি
'গীতিমাল্য'-এ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ডে গীতমালিকা অংশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রকাশিত হয়। ১৩২৪ বঙ্গাব্দে গীতলেখা প্রথমভাগে গানটি দিনেন্দ্রনাথ-কৃত
স্বরলিপিসহ প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩২৫ বঙ্গাব্দে গানটি 'বৈতালিক' নামক
গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'গীতিচর্চ্চা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে,
গীতিমাল্য থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত
হয়ে প্রকাশিত হয়।
১৩৮০
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে অখণ্ড
গীতবিতানের তৃতীয় এবং সর্বশেষ সংস্করণে গানটি
পূজা পর্যায়ের ৯৭
সংখ্যক গান হিসসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ্রহস্বর: মণা।
লয়: মধ্য।