বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
কার হাতে
এই মালা তোমার পাঠালে
পাঠ ও পাঠভেদ:
কার হাতে এই মালা তোমার পাঠালে
আজ ফাগুন-দিনের সকালে ॥
তার বর্ণে তোমার নামের রেখা গন্ধে তোমার ছন্দ লেখা,
সেই মালাটি বেঁধেছি মোর কপালে
আজ ফাগুন-দিনের সকালে ॥
গানটি তোমার চলে এল আকাশে
আজ ফাগুন-দিনের বাতাসে।
ওগো, আমার নামটি তোমার সুরে কেমন করে দিলে জুড়ে
লুকিয়ে তুমি ওই গানেরই আড়ালে
আজ ফাগুন-দিনের সকালে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপিতে
গানটির সাথে রচনাকাল এবং স্থানের
উল্লেখ আছে- '১৮ই ফাল্গুন ১৩১২০ শান্তিনিকেতন'। '১৩১২০'
বৎসরটি হবে ১৩২০। উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দের ১৭
ফাল্গুন তারিখে, রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শান্তিনিকতনে আসেন। ১৮ ফাল্গুন থেকে ২৯
ফাল্গুন পর্যন্ত তিনি মোট সাতটি গান রচনা করেন। এর ভিতরে
১৮ ফাল্গুন-এ
তিনি এই গানটি রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫২ বৎসর
১০ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অরূপরতন (মাঘ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)। তৃতীয় দৃশ্য, বালগণের গান। রবীন্দ্ররচনাবলী ত্রয়োদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, ভাদ্র ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা ১৯০।
কাব্যগ্রন্থ ৯ম খণ্ড। গীতিমাল্য গান ৬৫ (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৩৬২। [নমুনা: ৩৬২]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতি-মাল্য থেকে গৃহীত। পৃষ্ঠা: ৪৪১। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ১১। পৃষ্ঠা: ২০। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৪৩। উপবিভাগ: বন্ধু ১১। পৃষ্ঠা: ২৩-২৪ [নমুনা: ২৩, ২৪]
গীতলেখা প্রথম ভাগ (১৩২৪ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
৬৫ সংখ্যক গান (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৮৬। [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা: ১৮৩।
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২, অরূপরতন) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ১৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৬৩-৬৪।
পত্রিকা:
মানসী
(চৈত্র ১৩২০
বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা ১৮৭। শিরোনাম ‘ফাগুন
দিনের সকালে’।
[নমুনা]
[মানসী
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২০ বঙ্গাব্দে গানটি
মানসী পত্রিকার 'চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩২১ বঙ্গাব্দে 'গীতি-মাল্য' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রকাশিত হয়। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড'-এর
'গীতি-মাল্য' অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৪৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ
খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩)
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ ছন্দে
'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : ভৈরব। তাল : কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩) পৃষ্ঠা: ৪৪ ]।
রাগ: কালেংড়া,
ভৈরবী।
তাল: কাহারবা।
[রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৮১।
[কাহারবা তালে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[ভৈরব তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রনাথের গানের তালিকা]
গ্রহস্বর: পমা।
লয়: মধ্য।