বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটবে
গো
ফুল ফুটবে
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটবে গো ফুল ফুটবে।
আমার সকল ব্যথা রঙিন হয়ে গোলাপ হয়ে উঠবে ॥
আমার অনেক দিনের আকাশ-চাওয়া আসবে ছুটে দখিন-হাওয়া,
হৃদয় আমার আকুল করে সুগন্ধধন লুটবে ॥
আমার লজ্জা যাবে যখন পাব দেবার মতো ধন,
যখন রূপ ধরিয়ে বিকশিবে প্রাণের আরাধন।
আমার বন্ধু যখন রাত্রিশেষে পরশ তারে করবে এসে,
ফুরিয়ে গিয়ে দলগুলি সব চরণে তার লুটবে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229-পাণ্ডুলিপিতে
রচনার তারিখ উল্লেখ আছ '১৫ অগ্রহায়ণ'
[সোমবার,
১ ডিসেম্বর]।।
উল্লেখ্য,
১৪ নভেম্বর সুইডিশ একাডেমী রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারের বিষয়টি তার
বার্তায় জানানো হয়। এই তার বার্তাটি পান রবীন্দ্রনাথের জামাতা নগেন্দ্রনাথ।
১৬ নভেম্বর নগেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে বিষয়টি জানান। নোবেল পুরস্কারের পর
নানা দিকে পাওয়া অভিন্দন, মন্তব্য ইত্যাদি নিয়ে রবীন্দ্রনাথ একটি অস্থির
পরিবেশের মধ্যে পড়ে যান। ফলে রবীন্দ্রনাথের গানের ধারায় যতি পড়ে। ১৪-১৫
অগ্রহায়ণের ভিতর শান্তিনিকেতনে তিনি এই গানটি-সহ তিনটি গান রচনা করেন।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ৭ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
গ্রন্থ:
রেকর্ডসূত্র: ১৯১৬ থেকে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি এই গানের একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। গানটির শিল্পী ছিলেন জিতেন্দ্রনাথ দাস। রেকর্ড নম্বর
প্রকাশের কালানুক্রম
:
১৩২০ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ
আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক
ব্রহ্মোৎসবের
সান্ধ্যকালীন অধিবেশনে গানটি
প্রথম গীত হয়েছিল।
এই বছরেই যে ৩টি
পত্রিকায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
বঙ্গদর্শন
(পৌষ ১৩২০ বঙ্গাব্দ),
তত্ত্ববোধিনী (চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ)
ও প্রবাসী
(চৈত্র
১৩২০ বঙ্গাব্দ)। এরপর
যে সকল গ্রন্থাদি ও পত্রিকাতে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গীতিমাল্য
প্রথম সংস্করণ
(১৩২১ বঙ্গাব্দ),
আনন্দ-সঙ্গীত
(মাঘ-চৈত্র ১৩২৩ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
নবম খণ্ড
(১৩২৩
বঙ্গাব্দ)
ও
সঞ্চয়িতা
(১৩৩৮ বঙ্গাব্দ),
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' থেকে গৃহীত হয়েছিল।
এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের নিঃসংশয়
উপবিভাগের চতুর্থ গান হিসেবে। ১৩৭১
বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৯৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
রাগ: খাম্বাজ। তাল: কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩১]।
রাগ: খাম্বাজ। তাল: কাহারবা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৮।]