বিষয়: 
		রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা: 
		
		শিরোনাম: 
		
      
      শ্রাবণের ধারার
      মতো
      পড়ুক
      ঝরে,পড়ুক
      
      ঝরে
পাঠ ও পাঠভেদ:
শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে
তোমারি সুরটি আমার মুখের ’পরে বুকের ’পরে॥
পুরবের আলোর সাথে পড়ুক প্রাতে দুই নয়ানে—
নিশীথের অন্ধকারে গভীর ধারে পড়ুক প্রাণে।
নিশিদিন এই জীবনের সুখের ’পরে দুখের ’পরে
শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে।
যে শাখায় ফুল ফোটে না, ফল ধরে না একেবারে,
তোমার ওই বাদল-বায়ে দিক জাগায়ে সেই শাখারে।
যা-কিছু জীর্ণ আমার, দীর্ণ আমার, জীবনহারা,
তাহারি স্তরে স্তরে পড়ুক ঝরে সুরের ধারা।
নিশিদিন এই জীবনের তৃষার ’পরে, ভুখের ’পরে
শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
				ক. রচনাকাল ও স্থান: 
				
		রবীন্দ্রনাথের 
				
				
				RBVBMS 229 
				 
				-তে লিখিত গানটির নিচে রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে, '২৫ 
				ফাল্গুন। শান্তিনিকেতন'। 
				উল্লেখ্য 
				১৩২০ বঙ্গাব্দের ১৭ ফাল্গুন তারিখে, রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে 
				শান্তিনিকতনে আসেন। ১৮ ফাল্গুন থেকে ২৯ ফাল্গুন পর্যন্ত তিনি মোট 
				সাতটি গান রচনা করেন।
এর ভিতরে এই গানটি 
				রচনা করেছিলেন, ২৫শে ফাল্গুন। 
				এই সময়
		রবীন্দ্রনাথের 
				বয়স ৫২ বৎসর 
		১২ মাস।
         [রবীন্দ্রনাথের 
				৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
 
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩)। গীতিমাল্য ৬৮। পৃষ্ঠা: ৩৬৫। [নমুনা]
কেতকী (শ্রাবণ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' থেকে গৃহীত হয়েছি। পৃষ্ঠা: ৪৪৩। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। প্রার্থনা ৭। পৃষ্ঠা: ৪২। [নমুনা: ৪২]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৯৮। উপবিভাগ: প্রার্থনা-৭। পৃষ্ঠা: ৪৫-৪৬।
গীতিচর্চ্চা (পৌষ ১৩৩২)। ৬৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪৮। [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। ৬৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৮৪-৮৫।
				
				
				
				স্বরবিতান একাদশ (১১, 
		কেতকী) খণ্ডের (আশ্বিন ১৪১৬) ২২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৬৭-৬৯।
 
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী
জ্যৈষ্ঠ ১৮৩৬ শকাব্দ ১৩২১ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। শিরোনাম 'নূতন গান'। পৃষ্ঠা: ৩৮। [নমুনা]
				
				
				ফাল্গুন ১৮৩৬ শকাব্দ, ১৩২১ 
বঙ্গাব্দ। 
				
				
				পঞ্চাশীতিতম সাম্বৎসরিক 
				ব্রহ্মোৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনের দশম গান। 
				পৃষ্ঠা ১৯৫]
 
				প্রকাশের 
			কালানুক্রম: 
				১৩২০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে 
			রচিত এই গানটি, প্রথম তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ 
			১৩২১ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল স্বরলিপি-সহ। 
				১৩২১ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে 
			প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' গ্রন্থে এই গানটি স্থান পেয়েছিল। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে 
			গানটি 'কাব্যগ্রন্থ' নবম খণ্ডে 'গীতিমাল্য' অংশে স্থান পায়। ১৩৩২ 
			বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিচর্চ্চা-তে গানটি স্থান পেয়েছিল। ১৩৩৫ 
			বঙ্গাব্দে প্রকাশিত কেতকী গ্রন্থে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ 
			প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৮ 
			বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে, 
			গীতিমাল্য থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে গানটি 
			গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত 
			হয়ে প্রকাশিত হয়। ১৩৮০ 
				বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে অখণ্ড 
			গীতবিতানের তৃতীয় এবং সর্বশেষ সংস্করণে গানটি 
				পূজা পর্যায়ের ৯৮ 
			সংখ্যক গান হিসসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।